বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

নদী খননের দাবি ও অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

স্বদেশ ডেস্ক
  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ -যাযাদি

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সোয়াই নদী সম্পূর্ণ খননের দাবিতে শ্যামগঞ্জ বাজারে এবং সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, আংশিক নয়, সম্পূর্ণ সোয়াই নদী খননের দাবিতে শ্যামগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে 'আমরা শ্যামগঞ্জবাসী' ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, সোয়াই নদীটি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের শ্যামগঞ্জ, মইলাকান্দা ইউনিয়নের কিছু অংশ, তারাকান্দা উপজেলার কিছু অংশ ও নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার একাংশ, নেত্রকোনা সদর উপজেলা কিয়দাংশজুড়ে বিস্তার ছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কিছু অসাধু ভূমিখেকো মানুষ নদীটি দখল করে অস্তিত্ব বিলীন করে দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, তালিকায় থাকা নদীটির পুনঃখননের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে নদীটি দৃশ্যমান হয়ে উঠছে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার অংশে।

'আমরা শ্যামগঞ্জবাসী'র প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সূর্যসেন হল ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মারিয়াম সোহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন মনোজ, এনডিএমের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এম আর মাসুম, শিক্ষক তাপস ঘোষ, গোবিন্দ বণিক, ছাত্রনেতা সাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলা প্রেস ক্লাবের সামনে যমুনার তীরে অবস্থিত মাছুয়াকান্দি, খুদবান্দী ও সাউদটলা গ্রামের প্রায় তিনশ' নারী-পুরুষ কাজিপুর-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের একপাশে অবস্থান নেন। ঘণ্টাকালব্যাপী অবস্থানের সময় তারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে যমুনা নদী তীররক্ষা প্রকল্পের কাছে জেগে ওঠা চর কেটে নেওয়া বন্ধের দাবি জানান।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহা আলী জানান, এভাবে বালু তুলতে থাকলে তীররক্ষা বস্নকের গোড়া আলগা হয়ে যেকোন সময়ে ধস নামতে পারে। জরুরি ভিত্তিতে তাই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ বিষয়ে ইউএনও সোহরাব হোসেন জানান, 'অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু কাউকে পাইনি। বালু দসু্যদের ধরে নিয়মিত মামলা দেওয়া হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে