কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামে ছুরিকাঘাতে ওমান প্রবাসীকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতু্য হয়। তবে নিহতের নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ পরিবারের। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
চৌদ্দগ্রাম (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবুল হাশেম (৪৮) নামে এক প্রবাসীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের শাহিন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। নিহত আবুল হাশেম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের হাজারিপাড়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মাস্টার বাড়ির মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি ওমান প্রবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে ওই গ্রামের কৃষি জমিতে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত একই গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে মো. শাহিনকে (৩৬) আটক করে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান।
জানা গেছে, আটক শাহিন গত কয়েকদিন আগে ওই গ্রামে এক শ্রমিককে মারধর করেন। এ ঘটনায় একই গ্রামের সাইদুল নামে এক যুবক প্রতিবাদ করে। এরই জের ধরে বুধবার সকালে শাহিন ধারালো ছুরি নিয়ে সাইদুলকে ধাওয়া করে। আত্মরক্ষার্থে সাইদুল একই গ্রামের আবুল হাশেমকে জানান। আবুল হাশেম বিষয়টি জানার জন্য শাহিনের কাছে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই শাহিন এলোপাতাড়িভাবে আবুল হাশেমকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ সময় উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত শাহিনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহিনকে আটক করে।
চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, 'বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবুল হাশেম নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে'।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শেপনা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতু্য হয়েছে। পরিবারের দাবি, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী হাফিজুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। নিহত শেপনা পৌর এলাকার উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রামের আটোরিকশা চালক হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান।
জানা যায়, দেড় বছর আগে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার চর তরফসাদি গ্রামের রিকশাচালক শাখাওয়াত হোসেনের মেয়ে শেপনার সঙ্গে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে হাফিজুলের বিয়ে হয়। গত মঙ্গলবার বাবার বাড়ি থেকে এসে শেপনা জানতে পারেন তার অনুপস্থিতিতে হাফিজুল আরও একটি বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে উভয়ের ঝগড়া-বিবাদ হয় এবং শেপনাকে নির্যাতন করেন স্বামী হাফিজুল। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় শেপনা বিষ পান করেছেন বলে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এরপর স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স থেকে পালিয়ে যান স্বামী হাফিজুল। সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেপনা মারা যান।
ফুলবাড়ী থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।