বরখাস্ত থেকে অব্যাহতি পেয়ে দায়িত্ব নিতেই ফের দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক ১ বছর বরখাস্ত থাকার পর অব্যাহতি পেয়েছেন রমনা মডেল ইউনিয়নের সচিব মিনারুল হক দোলন। কিন্তু দায়িত্ব নিতে না নিতেই ফের ওই সচিবের বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়ার আশায় টাকা দেওয়া ভুক্তভোগী পরিবার ঘর না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। রামচন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তি ভুক্তিভোগী পরিবারদের পক্ষে এ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়ারী এলাকার রামচন্দ্র দাস, নাছিমা বেগম, আনিছুর রহমান, জিয়াউর রহমান, মকবুল হোসেন, স্বপন কুমার বর্মন ও ফাইদুল ইসলামের কাছ থেকে রমনা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিনারুল হক দোলন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার আশ্বাসে গত ২০২২ সালের ৩০ মার্চ মোট এক লাখ টাকা নেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও টাকা দেওয়া ভুক্তভোগী পরিবার ঘর না পেয়ে চলতি বছরের ১ ফেব্রম্নয়ারি ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে ২০ জানুয়ারি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অভিযুক্ত সচিব মিনারুল হক দোলনের থানাহাট বাজারস্থ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাদের ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগে উলেস্নখ করা হয়। অভিযোগকারী রামচন্দ্র দাস বলেন, 'ঘর দেওয়ার কথা বলে এক লাখ টাকা নিয়ে আমাদের ঘর দেননি। উল্টো ঘরের কথা বললেই আমাদের ওই সচিব হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করেন। তাই নিরুপায় হয়ে প্রতিকার পেতে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।' বক্তব্য পেতে অভিযুক্ত দোলনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, সচিব মিনারুল হক দোলন পরিষদে যোগদান করেছেন। আনীত অভিযোগের বিষয়ে তার জানা নেই। এ বিষয়ে ইউএনও মিনহাজুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উলেস্নখ্য, গত ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকার শাখা থেকে প্রেরিত কারণ দর্শানোর চিঠির জবাব দেন সচিব মিনারুল হক দোলন। কিন্তু সন্তোষজনক জবাব না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়, যার নং-ছিল ০৬/২০২২। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।