মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইবি শিক্ষকের পদাবনতি :২০ বিভাগীয় সভাপতির প্রতিবাদ

ইবি প্রতিনিধি
  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ইবি শিক্ষকের পদাবনতি :২০ বিভাগীয় সভাপতির প্রতিবাদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক ড. বখতিয়ার হাসানের পদাবনতি দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বিভাগের সভাপতি। গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানান তারা। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে বিভাগের সভাপতির সঙ্গে নিয়োগ বোর্ডের অন্য সদস্যদের মতপার্থক্যকে কেন্দ্র করে বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বোর্ডে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে তার পদ অবনমন করা হয়েছে। ফলে ওই বিভাগীয় সভাপতি মনে করেন যেকোনো প্রক্রিয়ায় নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্য কিংবা মতভিন্নতা থাকতেই পারে। তাছাড়া অতীতে এ ধরনের ঘটনার অসংখ্য নজির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেন, নিয়োগ বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যের স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের আইনগত অধিকার থাকা সত্ত্বেও সেটিকে অসৌজন্যমূলক আচরণ হিসেবে আখ্যায়িত করলে ভবিষ্যতে বিভাগের সভাপতি হিসেবে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করা দুরূহ হয়ে পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের নজির স্থাপন ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। প্রকারান্তে এটি ব্যক্তি প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ সময় তারা অনতিবিলম্বে ড. বখতিয়ার হাসানের বিরুদ্ধে আরোপিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোরালো দাবি জানান। অন্যথায় এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকান্ডের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করেন শিক্ষকরা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় চলবে। তবে তারা বিজ্ঞপ্তিতে কি লিখেছে সেটা আমি এখনো দেখিনি। তাদের জায়গা থেকে তারা প্রতিবাদ জানাতেই পারেন। এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ তারিখে নিয়োগ বোর্ডে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের একজন বিশেষজ্ঞ সদস্যের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। ওই তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়। পরে গত ১২ ফেব্রম্নয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬২তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ফলে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি এমপস্নয়িজ ইফিসিয়েন্সি অ্যান্ড ডিসিপিস্নন রুলসের ৩(সি) ধারায় সংশ্লিষ্ট ৯ এর ৪ ধারার উপধারা (ডি) অনুযায়ী কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ড. বখতিয়ারকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে পদাবনতি করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে