ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম

দাগনভূঞায় ৭১ জন শিক্ষক শূন্যতায় চলছে পাঠদান

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা আটটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মোট ১০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদের শূন্য রয়েছে ৭১টি। এতে বাড়তি চাপ ও পাঠদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরত শিক্ষকদের। যেখানে শিক্ষক পদ খালি রয়েছে, সেখানে অন্য শিক্ষকরা টানা ক্লাস নিয়ে মানসিকভাবে চাপে পড়ছেন। এতে সঠিক পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সমস্যায় ছুটিতে যান কোনো না কোনো শিক্ষক। খালি পদে শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘায়িত না করে শূন্য পদগুলো পূরণ হলে শিক্ষা ব্যবস্থা আরও ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। জানা যায়, উপজেলায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ২২ জন ও সহকারী শিক্ষক ৪৯ জনের পদ শূন্য রয়েছে। কেউ অবসরে গেছেন, আবার কেউ বদলি হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বাড়তি চাপ নিয়ে পাঠদান দিচ্ছেন কর্মরত শিক্ষকরা। চলতি বছর বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। তার অন্যতম কারণ মাদ্রাসা কেন্দ্রিক পড়াশোনা। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা নিজ থেকে বদলি চান নিজের সুবিধাজনক স্থানে। এতে শূন্য পদ থেকে যায় প্রায় সময়ই। দুধমুখা চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর অভিভাবক সাইফুল ইসলাম জানান, শিক্ষকদের পড়াশোনার বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত। এমনিতেই শিক্ষার্থী সংকট তৈরি হচ্ছে, যেখানে দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা সেখানে উল্টো শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমছে। শিক্ষক শূন্যতা পূরণ হলেও তারা আবার বদলি হয়ে যান যাতায়াত অসুবিধা দেখিয়ে। এটাও এক ধরনের পাঠদানে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। সহকারী শিক্ষক রুবেল জানান, শিক্ষক পদ খালি থাকলে সমন্বয় করে আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিয়ে থাকি। তবে একটু বাড়তি চাপ হলেও তা মেনে নিতে হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইস্কান্দার নুরী জানান, উপজেলায় মোট ৭১ জন শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। যেগুলো বদলি কিংবা অবসরজনিত কারণে হয়ে থাকে। শিক্ষক শূন্যতা বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নিয়মিত প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।