শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

মামলা করেই হাসপাতাল থেকে পালালেন অন্তঃসত্ত্বা নারী

ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মামলা করেই হাসপাতাল থেকে পালালেন অন্তঃসত্ত্বা নারী

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে স্বামীকে দিয়ে থানায় মামলা করিয়ে হাসপাতাল থেকে বেবী আক্তার নামে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নারী পেটে লাথির আঘাত লাগার কথা বলে গত ১১ ফেব্রম্নয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শরীয়তপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু ভর্তি হওয়ার ৫ ঘণ্টা পরেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তিনি।

জানা যায়, ওই দিন বিকালে স্থানীয় কৃষক দলিল উদ্দিনের বরই বাগান থেকে স্কুলের ছাত্রদের চুরি করে বরই পেরে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী ফারুক সরদারের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। দলিল উদ্দিনের ছেলে এনামুল, আজিজুল, সুলাইমানসহ কয়েকজন ফারুক সরদারের বাড়িতে বিষয়টি জানতে যান। পরে ফারুক সরদার ক্ষিপ্ত হয়ে একটি চাপাতি ও একটি রামদা নিয়ে তাদের তাড়া করেন। খবর পেয়ে দুই পক্ষের মধ্য কথা-কাটাকাটি হয়। পরে নাগেরপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোজাম্মেল খান তার প্রতিনিধি সুজাত হোসেনকে পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে পুলিশকে খবর দেন। এরপর ওই নারী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পেটে লাথি দেওয়ার অভিযোগ তুলে থানায় মামলা করেন ও হাসপাতালে ভর্তি হন।

অন্তঃসত্ত্বা নারী বেবী আক্তার বলেন, 'আমার শরীর ভালো, তাই ডাক্তারকে না বলেই বাড়িতে চলে আসছি।'

নাগেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল খান বলেন, আমি ঘটনা শুনে দুইজন প্রতিনিধি পাঠাই। কিন্তু কেউ তাদের কথা শোনেনি। পরে আমি পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। অন্যদিকে শুনলাম ফারুকের গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে লাথি দেওয়া হয়েছে। পরের দিন শরীয়তপুর সরকারি হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তাকে পাইনি। শুনলাম তিনি হাসপাতাল থেকে না বলেই চলে আসছেন। পরে শুনি সুস্থ বিধায় তিনি বাড়িতে চলে এসেছেন।'

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মিতু আক্তার বলেন, ১১ তারিখ বেবী আক্তার নামে ৯ মাসের একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী তার পেটে আঘাত লেগেছে বলেন। তখন তাকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়। তাকে রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পরের দিন সকালে প্রথম রাউন্ডে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগী বেবী আক্তারকে বেডে পাননি। তিনি কাউকে না জানিয়েই পালিয়েছেন।'

এ বিষয়ে গোসাইরহাট থানার ওসি পুস্পেন দেবনাথ বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। দুইজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছিল। তদন্ত শেষে মূল ঘটনা জানা যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে