শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সংস্কারের অভাবে হুমকির মুখে গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
গাইবান্ধায় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দ ও বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বিধ্বস্ত এবং পরিত্যক্ত হওয়া ঘাঘট নদীর শহর রক্ষা বাঁধ -যাযাদি

উত্তরাঞ্চলের গাইবান্ধা জেলার পৌর এলাকার কোল ঘেঁষে ঘাঘট নদী প্রবাহিত ছিল। শহরকে বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে ঘাঘটকে শহরের উত্তর প্রান্ত দিয়ে উঁচু বাঁধ বাইপাস করা হয়। ফলে শহরের লোকজন বর্ষাকালে নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারে। তবে দীর্ঘদিন সংস্কার ও তদারকির অভাবে শহর রক্ষাবাঁধটি বিধ্বস্ত ও পরিত্যাক্ত রূপ লাভ করেছে।

জেলা শহরে সরকারি কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসা, পিটিআই, ভিটিআই, এটিআই, হর্টিকালচার ইনস্টিটিউট, ব্যাংক, বীমা, পাঠাগার, হাসপাতাল, ক্নিনিকসহ কয়েক লাখ লোক বাস করে। সরেজমিন দেখা যায় ডেভিড কোংপাড়া থেকে পূর্ব কোমরনই পর্যন্ত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার বাঁধে রয়েছে অসংখ্য খানাখন্দর ও বড় বড় গর্ত। এলাকাবাসীর দাবি বর্ষা শুরু হওয়ার আগে এসব গর্ত মেরামত করা না হলে হুমকির মুখে পড়তে হবে গাইবান্ধাবাসীকে। শহর পস্নাবিত হলে সারা জেলায় এর প্রভাব পড়বে বলে অনেকেই মনে করেন। এলাকার বাসিন্দারা বাঁধটিকে রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করেন। অনেক সময় বৃদ্ধ ও প্রসূতিকে নিয়ে এই বাঁধ রাস্তা হিসেবে ব্যবহারে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।

আন্তর্জাতিক মানাবধিকার কমিশন গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আকরামুল হক বলেন, আসন্ন বর্ষার আগে শহর রক্ষা বাঁধটি সংস্কার না করে বর্ষা মৌসুমে সংস্কার কাজ শুরু করলে সরকারের আর্থিক অপচয় হবে অনেক বেশি এবং মানুষের জানমালের ক্ষতিরও সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্বকোমরনই এলাকার বাসিন্দা শামসুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মাটি ধসে বাঁধটি সরু হয়ে গেছে। তিনি দ্রম্নত সংস্কারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা পৌর মেয়র মতলুবর রহমান জানান, সিসি বস্নক দিয়ে শহর রক্ষা বাঁধটি সংস্কার করতে পারলে স্থায়ী সমাধান হতো। তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সহকারী প্রকৌশলীকে বিষয়টি অবগত করেছেন। আশা করছেন শিগগিরই শহর রক্ষা বাঁধটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে