নওগাঁর পোরশা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নেই। ফলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে শহীদ মিনারের তাৎপর্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় অনেক শিক্ষার্থী। এ উপজেলায় ৬টি কলেজ, ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৩টি মাদ্রাসা ও ৮৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শহীদ মিনার রয়েছে ৫টি প্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে ২টি কলেজ, ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। আর মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটিতেও শহীদ মিনার নেই।
পোরশা সরকারি কলেজ, গাঙ্গুরিয়া ডিগ্রি কলেজ, শিশা উচ্চ বিদ্যালয়, কড়িদহ উচ্চ বিদ্যালয় ও নিস্কিনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলেও নিজ অর্থায়নে নির্মিত শহীদ মিনারগুলোর প্রায় সবগুলোই অরক্ষিত রয়েছে। প্রতি বছর শহীদ দিবসে এগুলো ধুয়েমুছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান শহীদ দিবস পালন করে। কাতিপুর কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি একরামুল হক শাহ্ জানান, তাদের আন্তরিক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারছেন না। এ কারণে তারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবং তাৎক্ষণিক নিজ নিজ বিদ্যালয়ে কৃত্তিমভাবে শহীদ মিনার তৈরি করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং শহীদ দিবস পালন করেন। তিনি প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
উপজেলা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পত্রের আলোকে উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জায়গায় শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানে জায়গার অভাব ও অর্থাভাবে তা করতে পারছেন না বলে বিদ্যালয় প্রধানরা জানান। তারপরেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আর শহীদ মিনার নির্মাণ করেনি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত দেওয়া হয়। শহীদ মিনার নির্মাণের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।