নন্দীগ্রামে দ্বন্দ্বের অবসান

অনাবাদির হাত থেকে রক্ষা পেল আড়াইশ' বিঘা জমি

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার নন্দীগ্রামে গভীর নলকূপ নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান কাটিয়ে অনাবাদির হাত থেকে রক্ষা পেল বাদলাশন গ্রামের কৃষি আবাদি প্রায় আড়াইশ' বিঘা জমি। জানা গেছে, উপজেলার বাদলাশন গ্রামে আবুল কালাম আজাদ, বাদশাহ শেখ, আশরাফুল আলমসহ ১৪ জন সম্মিলিতভাবে বিএডিসি'র আওতায় রেজি:নং-বি ৫৪ একটি গভীর নলকূপ বসান। এর পানি ব্যবহার করে গ্রামের সব কৃষক কৃষিজমি আবাদ করে আসছেন। তারা নিজেদের জমিতে সঠিক সময়ে পানি সেচ দিলেও গ্রামের কিছু কিছু কৃষকদের জমিতে সঠিকভাবে পানি সেচ দেওয়া হয় না। নিজেদের গভীর নলকূপ থাকা সত্ত্বেও তারা তাদের ইচ্ছামত সেচ দেওয়ার জন্য ওই স্কিমের মধ্যে অবৈধভাবে দুইটি বিদু্যৎচালিত শ্যালো মেশিন বসিয়েছেন। এ বিষয়ে গ্রামের লোকজন বিভিন্ন অনিয়ম তুলে বিএডিসি নির্বাহী প্রকৌশলী (সওকা) বিএডিসি বগুড়া বরাবর অভিযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ সময় ধরে বিষয়টি তদন্ত করে গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করেন। এরপর বিএডিসি বগুড়া রিজিয়ন অধিদপ্তরের স্মারক নং-৫৬১ অনুমোদনের আলোকে বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম রেজাউল করিম তানসেনের নির্দেশে সেচযন্ত্র পরিচালনা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ নীতিমালা-২০২১ অনুসরণপূর্বক বর্ণিত শর্তাবলী পালন সাপেক্ষে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের জন্য আব্দুর রাজ্জাককে অপারেটর নিয়োগ করেন। মোজাম্মেল হক শেখকে সভাপতি এবং এনামুল হক প্রামাণিককে কোষাধ্যক্ষ করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। সে মোতাবেক গত শনিবার গভীর নলকূপটি চালু করা হয়েছে। এ বিষয়ে গ্রামের এনামুল হক ফকির, আব্দুর রহিম আকন্দ, শহিদুল আকন্দ, আছরফ আলী, গফুর ফকির, আব্দুল কুদ্দুস, সায়েদ ফকির, জমসেদ আলী প্রামাণিক, বাচ্চু সরকার, সাদিক সরকার, সাইফুল ইসলাম, ইউনুছ আলী, ইয়াছিন আলী বলেন, দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে গভীর নলকূপটি চালু হওয়ায় তাদের কৃষি আবাদি আড়াইশ' বিঘা জমি অনাবাদির হাত থেকে রক্ষা পেল। তাই তারা খুব খুশি।