মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে দাশুড়িয়া গোল চত্বরের ফুল বাগান

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশ। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় গ্রামের মানুষও এখন শহরের ন্যায় নানাবিধ সুবিধা ভোগ করেন। তারই উত্তম নিদর্শন ঈশ্বরদী-ঢাকা মহাসড়কের দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় গোলচত্বর। উত্তর বঙ্গের সঙ্গে দেশের দক্ষিণ বঙ্গের এবং দক্ষিণ বঙ্গের সঙ্গে উত্তর বঙ্গের জনপদের সেতুবন্ধ তৈরি। রাজশাহীর সঙ্গে পাবনা, নগরবাড়ী, কাশিনাথপুর, বাঘাবাড়ীসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর সঙ্গে সারাদেশকে মিলিয়ে দিতে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়াতে বিশাল আকারের দুটি গোল চত্বর তৈরি করা হয়েছে। গোল চত্বরটির মাঝখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত একটি ফলক তৈরি করার পরও তার চারপাশে অনেকটা ফাঁকা জায়গা পড়ে থাকে। সেখানেই প্রতি বছর শীতকালীন সময়ে সৌন্দর্যবর্ধন ফুলের চারা রোপণ করে বাংলাদেশ রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে পাবনা শাখা। প্রতি বছরের মতো এবারও রোপণ করা হয়েছে কয়েক হাজার ফুলের চারা। হলুদ গাঁদাসহ বেশ কয়েক জাতের বাহারি গাছে ফুটেছে থোকা থোকা ফুল। রং-বেরঙের সেই ফুল ছড়াচ্ছে মুগ্ধতা। দূরপালস্নার যাত্রীদেরও যাত্রাবিরতি দিয়ে ফটোশেসন করতে দেখা গেছে। সময় স্বল্পতায় অনেকেই গাড়ির জানালা খুলে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে চোখ জুড়িয়ে নিচ্ছেন। ব্যস্ততম হাইওয়ের মাঝখানে এমন সৌন্দর্যবর্ধনের কাজকে অনেকেই সাধুবাদ জানাচ্ছেন। দাশুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যন বকুল সরদার বলেন, 'দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় গোল চত্বরের এই সৌন্দর্যবর্ধন ফুল বাগানগুলোর পরিচর্যা আমি করলেও এগুলো তৈরি করেছে বাংলাদেশ রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে পাবনা। এই সৌন্দর্যবর্ধনের কাজটি ধারাবাহিকভাবে তারা করবেন।' বাংলাদেশ রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে পাবনার উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিপুল হোসেন বলেন, জেলার মধ্যে ঈশ্বরদীস্থ দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড়টি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। রাস্তা বাদে এর মাঝখানে অনেকটা ফাঁকা জায়গা রয়েছে। সেখানে সুন্দর বাগান তৈরি করা যায়। সেটা সৌন্দর্যবর্ধন হবে। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে পাবনা শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সমিরণ রায়ের নির্দেশনায় এই নজরকারা ফুলের বাগানটি তৈরি করা হয়।