টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা সংগ্রামপুর ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামে জোর করে বাগানের ৫০ হাজার টাকার বাঁশ কাটার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার দ্বীন ইসলামের বিরদ্ধে। দ্বীন ইসলাম ওই গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে। এ বিষয়ে বাগানের মালিক নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাদী নাসিরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ছনখোলা মৌজার সাড়ে ১০ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বীন ইসলামের বিরোধ চলছিল। তবে দীর্ঘ ১৫ বছর আগে জমি কেনার কথা দাবি করেন নাসির।
নাসির উদ্দিন জানান, 'ওই জমিতে আমি একটি বাঁশ বাগান করি। গত ১৫ ফেব্রম্নয়ারি আমি বাড়িতে না থাকায় বাগান থেকে ১০৮টি বাঁশ কেটে নিয়ে যায় দ্বীন ইসলাম।
অভিযোগগের বিষয়ে দ্বিন ইসলাম জানান, 'আমি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দলিলে সই দিয়েছি। আমার তখন মাথা ঠিক ছিল না।'
সংগ্রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাবু জানান, জমির দলিল দেখে কার নামে জায়গা তার আমি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি হিসেবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'
ঘাটাইল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন তদন্ত করেছি।
গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি জানান, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রামে তিন কৃষকের দুই বিঘা জমির কলাক্ষেত কেটে বিনষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। কৃষক সোহাগ সরদার, ইমরুল ও আমজাদ নামের তিন কৃষক সমন্বিত উদ্যোগে কলা চাষ করছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা এ কলাক্ষেত বিনষ্ট করে। পুলিশ বিষয়টির খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম।
শনিবার সকালে চরগোয়াল গ্রামের মধ্যের মাঠে কলা গাছ কাটা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা খবর দেয় কৃষকদের।
কৃষক সোহাগ সরদার জানান, 'তারা তিনজন সমন্বিতভাবে ৪০ বিঘা জমি আবাদ করেন। এর মধ্যে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে কলাক্ষেত রয়েছে। রাতের অন্ধকারে কলা গাছগুলো কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে তাদের চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ বিষয়টির খোঁজখবর নিচ্ছেন। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।