খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি বিনোদগঞ্জসহ পাঁচটি পৌরসভা প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাঠানো প্রস্তাবে উলিস্নখিত অন্য চারটি পৌরসভা হচ্ছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা পৌরসভা, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলাধীন কাশিনাথপুর পৌরসভা, গাইবান্ধার সাদুলস্নাপুর উপজেলাধীন সাদুলস্নাপুর পৌরসভা এবং কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার অন্তর্গত রৌমারী পৌরসভা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন সরকারের প্রথম নিকার সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অনুমোদন হবে। সভার তারিখ নির্ধারণ করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামী মাসে এই সভা হতে পারে। নতুন বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, থানা গঠন বা স্থাপনের প্রস্তাব এবং সম্প্রসারণ বা পুনর্গঠনের জন্য সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে (নিকার) অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, শতবর্ষ আগে বিংশ শতকের গোড়ার দিকে খুলনা জেলার কপিলমুনির বরেণ্য ব্যবসায়ী রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু কপিলমুনিবাসীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তুলেছিলেন প্রয়োজনীয় সব সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। রায় সাহেবের প্রচেষ্টাতেই কপিলমুনি হয়ে ওঠে ওই অঞ্চলের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র। এই কপিলমুনি রয়েছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সশস্ত্র যুদ্ধে জয় এবং গণআদালতের রায়ের মাধ্যমে দেড় শতাধিক যুদ্ধপরাধীর শাস্তি কার্যকর করা ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস।
আধুনিক কপিলমুনির স্বপ্নদ্রষ্টা রায় সাহেবের জীবনাবসানের পর নানা বাস্তবতায় তার উদ্যোগগুলো প্রায় মুখ থুবড়ে পড়ে। তিন বছর আগে সেই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে আন্দোলন শুরু করে সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন। আন্দোলনের অন্যতম ইসু্য ছিল কপিলমুনিকে পৌরসভায় উন্নীতকরণ। সেই দাবি বাস্তবায়নে সরকার ইতোমধ্যে কপিলমুনিতে বিনোদগঞ্জ পৌরসভা গঠনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।