সিরাজগঞ্জে সওজ'র জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ
প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে চন্ডিদাসগাঁতী বেইলি ব্রিজ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার ফোর লেনের কাজ এগিয়ে চলছে। এদিকে রাস্তার দুই পাশে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে। এসব অবৈধ স্থাপনার সরানোর জন্য গত বছর ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি সড়ক বিভাগের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরানোর নোটিস পাঠানো হয়। এবং তা ভেঙে ফেলার জন্য লাল চিহ্ন দিয়ে ঘর মালিকদের অবহিত করা হলেও তারা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পৌর এলাকার মালশাপাড়া কাটা ওয়াবদা মোড় থেকে শহরের অভ্যন্তরের কাজীপুর রাস্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ফোর লেনের কাজ চলছে। এ অংশে একটি লেন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কাজীপুর রাস্তার মোড় থেকে চন্ডীদাসগাঁতী ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার ফোর লেনের কাজ শেষ হয়নি। রাস্তার দুই পাশে মাটির ভরাটসহ ড্রেন নির্মাণের কাজ অবশিষ্ট রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, ফোর লেনের প্রস্থ ১৮ মিটার। দুই পাশের রাস্তার প্রস্থ ৭.৩ মিটার। মাঝে আইল্যান্ড থাকবে ১ মিটার এবং দুই পাশে ফুটপাথ কাম ড্রেন হবে ১.২ মিটার। এর পাশে মাটির সোল্ডার নির্মাণ করে বৃক্ষ রোপণ করা হবে। পথচারী আব্দুল ওহাব জানান, প্রশাসনকে বৃধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিরাই সরকারি জায়গা দখল করে স্থায়ী ইমারত নির্মাণ করছে, যা কেউ দেখেও দেখছে না।
সরকারি মুরগির প্রজনন খামারের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান জানান, রাস্তার পাশে সড়ক বিভাগ থেকে এসে মেপে গেলেও আজও সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক জানান, আশপাশের এলাকা বস্তির মতো হয়ে গেছে। অতিদ্রম্নত ব্যবস্থা না নিলে হাসপাতালের পরিবেশ আরও খারাপ আকার ধারণ করবে।
সিরাজগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রহমান মিলু জানান, সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা দ্রম্নত সময়ের মধ্যে ভেঙে ফেলা হবে।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, এই প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, সড়ক বিভাগের জায়গায় গড়ে ওঠা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য দ্রম্নত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।