দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার মিত্রবাটি ডাঙ্গা পাড়া গ্রামের জাকির হোসেন। চলতি মৌসুমে নিজের প্রায় ২০ শতক জমিতে ২ হাজার ৫০০ চারা ব্রোকলি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও ফলন ভালো হওয়ার কারণে তিনি উপজেলার আরও কয়েকজন কৃষক এই সাফল্য পান। ব্রোকলি চাষে লাভ হওয়া অনেক কৃষক আগ্রহী হয়েছেন ব্রোকলি চাষে।
কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ২০ শতক জমিতে ব্রোকলির চাষে তার ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ সার দিয়েছে, ব্রোকলি চাষাবাদে কোনো প্রকারের কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি। পোকা দমনে ব্যবহার করেছেন ফেরোমন ফাঁদ। চমৎকার কাজ করেছে। আর ভালো ফলনের জন্য শুকনো গোবর ও কিছু পরিমাণ সার প্রয়োগ করতে হয়েছে। এতে বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রায় ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার ব্রোকলি বিক্রি করার আশা তার।
তিনি বলেন, ফুলকপির মতো দেখতে গাঢ় সবুজ রংয়ের শীতকালীন এই ফসলটি দিনাজপুরে খুব কম আবাদ হয়। সব খরচ বাদ দিয়েও ৪০ হাজার টাকা লাভ হবে।
\হউপজেলা কৃষি অফিসার জোহরা সুলতানা বলেন, 'দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চিরিরবন্দর উপজেলায় একটি রঙিন ফুলকপি এবং তিনটি ব্রকলি প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনী ২০ শতক। ব্রোকলি একটি অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ, রঙিন বিদেশি সবজি, বাজারে এর চাহিদা রয়েছে। এতে চাষাবাদে অত্যন্ত কম পরিমাণ কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। ব্রোকলির আবাদ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবেন। সাধারণ ভোক্তার কাছে পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি সহজলভ্য হবে।