সংস্কারের জন্য নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন
গাইবান্ধায় চরম অনাদরে পড়ে আছে শহীদ মিনার
প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গর্ব, অহংকার ও জাতীয়তার মহান প্রতীক শহীদ মিনার। কিন্তু চরম অনাদরে পড়ে আছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্ণীপুর ইউনিয়নের হাট লক্ষ্ণীপুরের শহীদ মিনারটি। শহীদ মিনারের জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করে জরুরি সংস্কারের জন্য সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসীর পক্ষে ময়নুল ইসলাম।
আবেদন পত্রের সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বিশিষ্টজনদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি হাটলক্ষ্ণীপুরের কাঁচাবাজারে ১৯৯৭ সালে শহীদ মিনারটি স্থাপন করে। বিশিষ্ট ব্যক্তিরা নিজেরাই চাঁদা দিয়ে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করেন। এই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হতো। এখানে অনুষ্ঠিত হতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সভাসমাবেশ। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, অনাদরে-অবহেলায় শহীদ মিনারটি পড়ে আছে। সংস্কারের অভাবে শহীদ মিনারের অবকাঠামোও খসে পড়ছে। এই সুযোগে শহীদ মিনারের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। এখন সভাসমাবেশ তো দূরের কথা, মহান শহীদ দিবসে শ্রদ্ধা জানাতেও নানা সমস্যা হচ্ছে।
এ কারণে শহীদ মিনারের প্রতি অনাগ্রহী হয়ে পড়ছে স্থানীয় নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা। তারা আমাদের শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে ভুলে যাচ্ছে। বর্তমানে শহীদ মিনারটি প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। শহীদ মিনারটির সংস্কারের জন্য এর আগে মৌখিকভাবে অনেক জায়গায় আবেদন-নিবেদন জানিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।
এ অবস্থায় শহীদ মিনারের প্রতি জনগণ বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সম্মান, শ্রদ্ধা অক্ষুণ্ন রাখতে শহীদ মিনারটির জরুরিভাবে সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্ণীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শহীদ মিনারের জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দিয়েছেন। জায়গা দখলমুক্ত করে সংস্কারের কাজ শুরু হবে।