২০ হাজার টাকার জন্য কলেজছাত্র মিজানুরকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫
প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
পাবনা প্রতিনিধি
মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে কলেজছাত্র মিজানুর রহমানকে (২১) মারধর ও পরিবারের কাছে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একদল বখাটে। তাদের দাবিতে ৫ হাজার টাকা দিলেও, মিজানুরকে ছাড়েনি। উল্টো বেধরক মারপিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মিজানুর।
পাবনার সদর উপজেলার কলেজছাত্র মিজানুর রহমান হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হত্যার সঙ্গে জড়িত ৫ আসামিকে। গত মঙ্গলবার রাতে তাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ৩১ জানুয়ারি মিজানুর রহমানকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়। আর পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ ফেব্রম্নয়ারি মারা যান তিনি। নিহত মিজানুর সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি আটঘরিয়া সরকারি (অনার্স) কলেজে এইচএসসি মানবিক বিভাগে লেখাপড়া করতেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পাবনা পৌর এলাকার চক ছাতিয়ানী মহলস্নার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাফিউল ইসলাম রাফি (২৩), একই মহলস্নার আব্দুল গাফফারের ছেলে নাঈম ইসলাম (২৪), শালগাড়িয়া নিকারীপাড়া মহলস্নার বনি ইসরাইলের ছেলে ইয়াছিন আলী রাহাত (২৩), মধ্য শালগাড়িয়া মহলস্নার মৃত ইলিয়াস আলীর ছেলে ইসতিয়াক মাহমুদ মিশন (২৪) ও রাধানগর নারায়ণপুর মহলস্নার শফিকুল ইসলাম শফিকের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ (৩৯)।
বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। তিনি জানান, গত ৩১ জানুয়ারি অভিযুক্ত রাফি মোবাইল ফোনে মিজানুরকে কল করে ডেকে আনেন। এরপর আগে থেকে অবস্থান নেওয়া অভিযুক্ত ইয়াছিন আলী রাহাত, নাঈম ইসলাম, শরিফুল ইসলাম শরিফ, ইসতিয়াক মাহমুদ মিশনসহ আরও কয়েকজন মিজানুরকে মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মিজানুরের মোবাইল ফোন থেকে তার বাবার কাছে শরিফুল কল করে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তখন মিজানুরের বাবা ৫ হাজার টাকা পাঠান।
কিন্তু নিজেদের চাহিদামাফিক টাকা না পাওয়ায় মিজানুরকে আবারও মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে মিজানুর গুরুতর অসুস্থ হলে অভিযুক্তরা তাকে আড়াইশ' শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। পরে মিজানুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ ফেব্রম্নয়ারি মারা যান। এ ঘটনায় পাবনা সদর থানার মামলা করেন নিহত মিজানুরের বাবা শহিদুল ইসলাম। মামলা নং-০১।