আজকের যায়যায়দিন

যশোরের কেশবপুর উপজেলা পাঁচবাকাবর্শি গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ বৃষ্টি হত্যা মামলায় স্বামী সাইফুল ইসলাম মনাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত মঙ্গলবার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম এক রায়ে এ আদেশ দেন। সাইফুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত খালেক সরদারের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি অ্যাডভোকেট এম ইদ্রিস আলী।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮ সালে আসামি সাইফুল ইসলাম পারিবারিকভাবে বৃষ্টিকে বিয়ে করেন। এরপর নানা অজুহাতে বৃষ্টির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন স্বামী সাইফুল। বিষয়টি বৃষ্টির পরিবারও জানত। ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বাড়ির অন্যরা রোগী নিয়ে হাসপাতালে ছিলেন। এদিন রাতে সাইফুল স্ত্রী বৃষ্টিকে নিয়ে মেঝ ভাইয়ের ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। টিভি দেখা নিয়ে তাদের মনোমালিন্যের একপর্যায়ে বৃষ্টিকে গালিগালাজ করেন। বৃষ্টি প্রতিবাদ করায় স্বামী সাইফুল মুখ চেপে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন তাকে। প্রতিবেশীরা ঘটনা জনতে পেরে কেশবপুর থানায় সংবাদ দেয়। এ ঘটনায় নিহত বৃষ্টির বাবা কেশবপুরের চিংড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সাইফুল ইসলামকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে সাইফুলকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফজলে রাব্বী মোলস্না। এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি সাইফুল ইসলাম মনার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম মনা কারাগারে আটক আছে।