রাজনগরের গৃহবধূর মৃতু্য বিষক্রিয়ায় হত্যা না আত্মহত্যা
প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার
রাজনগরের গৃহবধূ মিতু দাশের (২৩) মৃতু্যর রহস্য ধূম্রজাল থেকে বের হয়ে আসছে না। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃতু্যর কারণ বিষক্রিয়া জানিয়েছেন। তবে এ ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি এখনো খোলাসা হচ্ছে না। এদিকে তার মৃতু্যর ঘটনাকে শাশুড়ি কর্তৃক পরিকল্পিত হত্যার বহিঃপ্রকাশ বলে জানিয়েছেন মিতুর বাবা মৌলভীবাজার শহরের বসবাসরত টমটম চালক পান্ডব দাশ।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায়। মেয়ের মা মুক্তি দাশ জানান, 'রাজনগর উপজেলার চাটুরা গ্রাম থেকে গত মঙ্গলবার মিতুর শাশুড়ি ফোনে জানান, 'তোমাদের মেয়ে বমি করছে, দ্রম্নত আস।' তাৎক্ষণিক গিয়ে দেখি মেয়ে মরা লাশের মতো পড়ে আছে। কারণ জানতে চাইলে মেয়ে কাঁপিয়ে জানায়, ৩ দিন আগে তার কাশি হয়েছিল। কাশির জন্য তার শাশুড়ি তাকে ট্যাবলেট জাতীয় কিছু খেতে দেন। এরপর থেকে সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।'
মা মুক্ত দাশ আরও জানান, 'বুধবার রাতেই আমরা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, মিতু বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। পরে ডাক্তার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় মারা যায় মিতু।'
রাজনগর থানার ওসি আব্দুস ছালেক জানান, ওই ঘটনায় মিতুর বাবা পান্ডব দাশ শাশুড়ি সাধনা দেব, চয়ন দেব ও ননদসহ আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ওসি বলেন, মেয়ের পিতার অভিযোগ যৌতুকের দাবিতে মিতুকে বিষপ্রক্রিয়ায় হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'ওই ঘটনা নিয়ে আমরা নিবিড় তদন্ত করি। এক পর্যায়ে মিতু দাশের মোবাইল ট্র্যাকিং করে আমরা জানতে পারি, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আব্দালপুর এলাকার লোকেশ দেব'র পুত্র চয়ন দেব'র সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের জের ধরে সে বিষ পান করে। তার মোবাইলের তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা চয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।'
উলেস্নখ্য, দুই বছর আগে রাজনগর উপজেলার চাটুরা গ্রামের মৃত বিনয় দেব'র পুত্র বাহরাইন প্রবাসী বিপুল দেব'র সঙ্গে বিয়ে বিয়ে হয় মিতুর। এর আগে বিপুল আরেকটি বিয়ে করেন।