উপকৃত হাজারও কৃষক
পত্নীতলায় কাটাবাড়ী খাল পুনর্খনন
প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বরেন্দ্র অঞ্চল (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর পত্নীতলায় কাটাবাড়ী খাল সেচ কাজের সুবিধার্থে পুনর্খননের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কৃষকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে এর ফলে জমিতে সেচকাজ পরিচালনা সহজলভ্য হবে বলে মনে করছেন হাজারও কৃষক ও সমিতির সদস্যরা। এ ছাড়া আর্থিকভাবে লাভবান হবেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার পত্নীতলা, বুজরুক, মাহমুদপুর, আজমতপুরসহ গ্রামের মানুষের কাটাবাড়ী খালের পাশ দিয়ে ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের প্রায় ৭০০ বিঘার মতো জমি আছে। কৃষকদের সুবিধার্থে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পত্নীতলা উপজেলার কাটাবাড়ী খাল পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করা হয়। কাটাবাড়ী খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির লিমিটেডের আওতায় এলজিইডির টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প হতে ৩০ লাখ, ৫২ হাজার, ৬০৪ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ব্র্যাঞ্চ খালসহ মোট ৪ হাজার ৮০০ মিটার দৈর্ঘ্য পুনর্খনন, ৭টি রেফারেন্স লাইন, ২টি উপ-প্রকল্প চিহ্নিতকরণ সাইনবোর্ড এবং ৪৪টি ডিমারকেশন পোস্ট বসানো হয়েছে।
স্থানীয় বুজরুক গ্রামের কৃষক রুবেল হোসেন বলেন, 'খালটি পুনর্খনন করায় আমাদের অনেক উপকার হবে। বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে এর ফলে জমিতে সেচকাজ সুবিধা পাব আমরা। এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমরা কৃষকরা অনেক খুশি। আশা করছি কৃর্তপক্ষ দ্রম্নত খালটি পুনর্খনন কাজ শেষ করবেন।'
মাহমুদপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান বলেন, 'খালটি খননের জন্য এলাকাবসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। বর্তমানে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে জেনে আমরা আনন্দিত। এই খাল খনন কাজ শুরু হওয়ায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।'
আজমতপুর গ্রামের জামাল হোসেন, বুজরুক গ্রামের বেলাল হোসেনসহ কয়েক কৃষক বলেন, 'খালটি পুনর্খননের ফলে আমরা অনেক উপকার পেতে যাচ্ছি। ইরি-বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধা পাবো। বর্ষাকালে জমিতে পানি জমে থাকা থেকে রেহাই পাব। হাঁস পালন ও সবজি চাষসহ বিভিন্ন আবাদ করতে খালটি পুনর্খনন করার কারণে আমরা সার্বিকভাবে লাভবান হব।'
পত্নীতলা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ জাহিরুল হক বলেন, খালটি পুনর্খনন হয়ে গেলে পানি জমে থাকার সেচ কাজে সুবিধা হবে ঠিক, তেমনি বর্ষা মৌসুমেও জলাবদ্ধতা নিরসনে ভূমিকা রাখবে। এতে হাজারও কৃষক উপকৃত হবে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'কৃষিবিপস্নব ও আধুনিক পদ্ধতিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীর যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা বাস্তবায়নের এটি একটি বড় অংশ। আমরা আশা করছি দ্রম্নতই কাজটি সম্পন্ন করা হবে।'