সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ধর্মপাশায় দ্রম্নত এগিয়ে চলছে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ধর্মপাশায় দ্রম্নত এগিয়ে চলছে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ

আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের হাত থেকে হাওড় অঞ্চলের ফসল রক্ষার লক্ষে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় পিআইসির মাধ্যমে ফসল রক্ষা (ডুবন্ত) বাঁধের নির্মাণকাজ দ্রম্নতগতিতে এগিয়ে চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। ধর্মপাশা উপজেলা প্রশাসনের আশাবাদ, পাহাড়ি ঢল বা আগাম বন্যার পানি আসার আগেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হবে।

উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর আকস্মিক পাহাড়ি ঢল বা আগাম বন্যায় হাওড় অঞ্চলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। হাওড়াঞ্চলের ফসল রক্ষায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যে ৯৬টি ডুবন্ত বাঁধ মেরামতের কাজ প্রায় শেষের দিকে।

১৫ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠনের মাধ্যমে বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ধর্মপাশা উপজেলায় ৭টি হাওড়ে ফসলরক্ষা বাঁধ মেরামতে ৯৬টি প্রকল্প পিআইসি কমিটির গঠন করা হয়েছে। আর এর বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগামী ২৮ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। ইতোমধ্যে নির্মাণকাজ দ্রম্নত এগিয়ে চলছে। ওই বাঁধগুলোর ওপর হাওড় অঞ্চলের কৃষকদের এক ফসলি বোরো ফসল নির্ভরশীল।

উপজেলার রাজাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, হাওড় অঞ্চলের কৃষকদের সারা বছরের একমাত্র ফসল হচ্ছে বোরো ধান। প্রতি বছর আগাম বন্যায় হাওড়ের ফসল তলিয়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। আগাম ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কাবিটা প্রকল্পের সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, জানান, উপজেলা ৯৬টি বাঁধ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এসব বাঁধ প্রতিনিয়তই পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোথাও কোনো অনিয়ম দেখা গেলে পিআইসিকে দ্রম্নত সেসব সারিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব বাঁধের কাজ শেষ করা যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে