কবরস্থানের জায়গা দখলে বাধা দেওয়ায় প্রবাসীর পরিবারের ওপর হামলা
প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার কুমিলস্না ও বরুড়া
কুমিলস্নার বরুড়ায় কবরস্থানের জায়গা দখল করতে না দেওয়ায় প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। তাদের এক রকম বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার বরুড়া উপজেলার আড্ডা ইউনিয়নের বেজিমারা গ্রামের। সোমবার এসব অভিযোগ করেন প্রবাসীর মা ছালমা বেগম ও বাবা মোশারফ হোসেন।
প্রবাসীর বাবা মোশারফ হোসেন জানান, তার পূর্বপুরুষরা বেজিমারা জামে মসজিদের জন্য জমি দান করেন। পাশে আরও জমি রেখে যান কবরস্থান করার জন্য। কালক্রমে পূর্বপুরুষদের পর জমিজমার দায়িত্ব পড়ে মোশারফ হোসেনের ওপর। কয়েক বছর আগে মোশারফের কাছে পাশের বাড়ির একটি চক্র রাস্তা করার জন্য জমি চায়। কিন্তু এতে মোশারফ অস্বীকৃতি জানান। এর কয়েকদিনের মাঝেই মসজিদ কমিটি থেকে ওই জায়গা ঈদগাহ মাঠ করার জন্য চেয়ে বসেন। এই জমি মূলত ওই চক্র দখল করতে জায়গাটি নিতে চায়। রাজি না হওয়ায় গত ৫ ফেব্রম্নয়ারি বাড়ির ভেতর ঢুকে মোশারফ, তার স্ত্রী ও তার মেয়েকে হামলা করেন স্থানীয়, জামাল, দিদার, বাদন, বোরহান, হাবিব, মহিন, নাসির। এ সময় মোশারফ ও তার স্ত্রীকে রামদা, চেনি, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এদিকে, যখন মোশারফ ও তার স্ত্রী হাসপাতালে এ সময় তার বড় মেয়ে, তার স্বামী ও ছোট মেয়ের ওপর হামলা করে মুখোশপরা একদল দুর্বৃত্ত। কিন্তু মারধরের সময় মুখোশ খুলে যাওয়ায় চিনে যায় তারা দুপুরে হামলা করা দিদার, জামাল, বাদন, বোরহান, হাবিব, মহিন, নাসির। ওইসময় হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা ও বাড়িঘরের টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। মারধর চলাকালে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। যার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বরুড়া থানা পুলিশকে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাদেক হোসেন বলেন, প্রবাসী জাকারিয়াদের পরিবারের দান করা জায়গায় মসজিদ করা হয়েছে। গ্রামের কিছু মানুষ তাদের সুবিধার্থে আরও জায়গা চায়। কিন্তু জাকারিয়া ও তার বাবা মোশারফ এতে রাজি নয়। তাই তাদের ওপর একটি প্রভাবশালী চক্র হামলা করেছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মফিজ মিয়া বলেন, 'হামলার কথা শুনেছি। এভাবে হামলা করা উচিত হয়নি। হামলার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা মসজিদের জন্য জায়গা চেয়েছি। কিন্তু আমরা তাকে জোর করিনি। দেয়াল করার সময় নিষেধ করেছি। দেয়াল না করলে মসজিদের সৌন্দর্য ঠিক থাকে তাই। আর তাদের বাধা দেব না। এটা তাদের ব্যক্তিগত জায়গা।'
বরুড়া থানার ওসি রিয়াজ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, 'এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। আদালতের মামলার তদন্ত করার জন্য নথি পেয়েছি। অন্যদিকে তাদের বিরুদ্ধে একটি পক্ষ অভিযোগ করেছে। আমরা দুটিই তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে বলা যাবে ঘটনার নেপথ্যে কারা।'