নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলার উদ্যোক্তাদের সহায়তায় রাইস ট্রান্সপস্নান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণে সফলতা পেয়েছে কৃষক। রোপণ করা ধানের চারা থেকে ধানের ফলন বৃদ্ধির সফলতা ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে সোমবার উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ। নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের তরুণীবাড়ী গ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডক্টর এস.এম আবু বকর সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার আতিক আহমেদ, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার বকুল ইসলাম, জেলা কৃষি প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার কর, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রফুলস্ন কুমার রায় প্রমুখ।
খামার বাড়ী সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলায় ১৮জন উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে ২০২৩ সালে ৪২০ হেক্টর জমিতে রাইস ট্রান্সপস্নান্টার যন্ত্র ব্যবহার করে আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছিল। এর ফলে জেলায় ৩৩১ মেট্রিকটন অতিরিক্ত ধান উৎপাদনের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি টাকা অতিরিক্ত অর্থ আয় করেন ধান উৎপাদনকারী কৃষকরা।
সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের বসুনিয়াপাড়ার রহিম বসুনিয়া জানান, 'উদ্যোক্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাইস ট্রান্সপস্নান্টারের মাধ্যমে আমার ৮০ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করে দেন।'
জেলা খামার যান্ত্রিকীকরণ উদ্যোক্তা কমিটি সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি ও তার টিম এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায় যন্ত্র উপযোগী চারা তৈরি ও যন্ত্রের সাহায্যে এক বিঘা জমিতে চারা রোপণ করে দেন। তিনি আরও জানান, তাদের এ কার্যক্রমে জেলার উপপরিচালক, কৃষি প্রকৌশলী ও কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নীলফামারী তাদের কারিগরি ও অন্যান্য সহযোগিতা করে আসছেন। তাদের লক্ষ্য জেলা ও জেলার বাইরেও যন্ত্র উপযোগী চারা তৈরি ও যন্ত্রের সাহায্যে চারা রোপণ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া।