সুদের টাকা নিয়ে বিবাদে মহাসিন হত্যাকান্ড গ্রেপ্তার লিখনের স্বীকারোক্তি
প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
সুদের টাকা আদায় নিয়ে বিবাদের জের ধরে প্রাণ দিতে হয়েছে মহাসিনকে। 'হত্যাকান্ডে' জড়িত মেহেদী হাসান লিখনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তার লিখন যশোর সদর উপজেলার নূরপুর গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। শনিবার রাতে তাকে আটকের পর উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত ট্যাঙ্ক বাক্স, মহাসিনের মোবাইল ফোন ও জুতা। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন মহাসিনের ভাই কোরবান আলী। এর আগে গত শুক্রবার সকালে যশোর শহরতলীর বালিয়াডাঙ্গা মানদিয়া জামে মসজিদের পেছন থেকে নূরপুর গ্রামের মছি মন্ডলের ছেলে নিহত মহাসিনের (৪২) অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, চড়া সুদের টাকা দিতে না পারায় গালিগালাজ করেছিলেন মহাসিন। সেই রাগে অফিসের মধ্যেই ল্যাপটপের চার্জারের তার দিয়ে প্রথমে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন মেহেদী হাসান লিখন। এরপর মরদেহ ভরা হয় একটি ট্যাঙ্ক বাক্সে। সেই বাক্সভর্তি লাশ নূরপুর থেকে প্রথমে ইজিবাইকে ও পরে ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয় ফতেপুরের মান্দিয়া গ্রামে। যাওয়ার পথে তেলপাম্প থেকে কেনা হয় ডিজেল। আর সেখানে নিয়ে ডিজেল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয় মহাসিনের মরদেহ। ডিবির জালে আটকের পর এসব কথা জানিয়েছেন নূরপুরের মহাসিনের হত্যাকান্ডে জড়িত মেহেদী হাসান লিখন।
ডিবি আরও জানান, বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তারা সংগ্রহ করেন। এরপর মহাসিনের মোবাইল ফোনের লোকেশন শনাক্ত করে ফোন উদ্ধার করা হয় লিখনের কাছ থেকে। লিখনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে ধীরে ধীরে সব স্বীকার করেন।
রোববার সকালে ডিবির এসআই শামীম হোসেন ও এসআই খান মাইদুল ইসলাম লিখনকে নিয়ে নূরপুরের তার সেই অফিসে যান। যেখানে মহাসিনকে হত্যা করা হয়েছিল নিজ মুখে তার বর্ণনা দেন লিখন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা লিখনের ফাঁসির দাবিতে স্স্নোগান দিতে থাকে।