ঝিনাইদহে ভরা বোরো মৌসুমে পানি দিচ্ছে না জিকে সেচ প্রকল্প

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
পাম্প নষ্টের অজুহাতে চলতি বোরো মৌসুমে এবারও পানি দিচ্ছে না গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, কুষ্টিয়ায় অবস্থিত তিনটি পাম্পের মধ্যে দুটি নষ্ট হওয়ায় চলতি ইরি মৌসুমে ঝিনাইদহ ও মাগুরায় পানি সরবরাহ করবে না। এতে ঝিনাইদহ অংশের হাজার হাজার কৃষকের বাড়ছে উৎপাদন খরচ। ফলে দ্রম্নত পাম্প মেরামত করে পানি সরবরাহের দাবি কৃষকদের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপা উপজেলায় জিকে সেচ খালের আওতায় সেচযোগ্য জমি রয়েছে ২৭ হাজার হেক্টর। বিগত বছরগুলোতে এই সেচ প্রকল্পের পানিতে স্থানীয় কৃষকরা এসব জমিতে ধান চাষ করে আসছে। জিকে সেচ খালের পানি দিয়ে ধানের আবাদ করতে খরচ হয় ৩০০ টাকা। কিন্তু ডিজেলচালিত সেচ পাম্পের পানি দিয়ে আবাদ করতে লাগবে ১০-১২ হাজার টাকা। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের প্রধান খাল এটি। গত মৌসুমে এই খালে কিছুটা পানি সরবরাহ করা হলেও চলতি ধান রোপণ মৌসুমে এখনো পানি সরবরাহ করা হয়নি। ফলে পানির অভাবে খাঁ খাঁ করছে খালটি। এই খালের পাশেই ধানের আবাদ করতে ডিজেলচালিত সেচ পাম্প থেকে পানি নিচ্ছে ওই এলাকার কৃষকরা। সেচ পাম্পের পানি দিয়ে জমিতে চলছে ধানের চারা রোপণের কাজ। তাই আমরা বোরো মৌসুমে যাতে ধানের আবাদ ঠিক মতো করতে পারি, সেই জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে দ্রম্নত নষ্ট পাম্প মেরামত করে পানি সরবরাহের দাবি জানাচ্ছি। কৃষক আজিজ খান জানান, ভরা মৌসুমে জিকে খালে পানি না থাকায় চাষাবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালেব জানান, বড় দুটি পাম্প যান্ত্রিক ত্রম্নটির কারণে পানি ছাড়া সম্ভব হয়নি। যে কারণে আমরা পানি সরবরাহ করতে পারিনি। চেষ্টা চলছে দ্রম্নতই সমস্যার সমাধান করা হবে।