নাব্য সংকটে উত্তরবঙ্গের বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
যমুনা, বড়াল, ও হুরাসাগর নদীর নাব্যতা না থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে ভিড়তে পারছে না পণ্যবাহী বড় বড় কর্গো জাহাজ। ফলে দূরে নোঙর করা জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে পণ্য খালাস করায় বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বাঘাবাড়ী থেকে প্রায় ৭৫ মাইল দূরে মানিকগঞ্জের বাহাদুরাবাদ নামক স্থানে যমুনা নদীতে জাহাজগুলোকে অবস্থান করতে হচ্ছে। সেখান থেকে লাইটার জাহাজে করে পণ্য খালাস করতে হচ্ছে। বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, নদীতে পানির গভীরতার চেয়ে অতিরিক্ত মালপত্র নিয়ে আসার কারণে বড় বড় জাহাজ আসতে পারছে না। বন্দরটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা হলে এই সমস্যা আর থাকবে না। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, নদীপথে দেশের চট্টগ্রাম, মোংলা ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে নিয়মিতভাবে পণ্য আসে বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরে। উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় তা সরবরাহ করা হয়। দৌলতদিয়া থেকে বাঘাবাড়ী নৌবন্দর পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্টে পানির গভীরতা কমে গেছে। এখন সেখানে পানির গভীরতা ৭ থেকে ৮ ফুট। এ ছাড়া পলি জমে সরু হয়ে গেছে নৌ-চ্যানেল। ১৯৮৬ সালে ততকালীন এরশাদ সরকার বাঘাবাড়ী বড়াল নদীর তীরে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর স্থাপন করেন। জ্বালানি তেল, সার, সিমেন্ট, কয়লা, পাটসহ নানা পণ্য উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরের ইজারাদার আব্দুস সালাম বেপারী বলেন, 'খালি জাহাজ আসতেই ৮ থেকে ৯ ফুট গভীর পানির দরকার। সেখানে পানির গভীরতা রয়েছে ৭ থেকে ৮ ফুট। একটি জাহাজ ২০ হাজার বস্তা মাল নিয়ে এলে ১০ থেকে ১২ হাজার বস্তা খালাস করতে হয় লাইটার জাহাজে করে। এতে প্রতি বস্তায় ১৮ টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের সহকারী বন্দর ও পরিবহণ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, বাঘাবাড়ী নৌবন্দরটি দ্বিতীয় শ্রেণির। এই হিসাবে এখানে গড়ে সাড়ে ৭ ফুট পানি থাকা দরকার। বর্তমানে ৯ ফুট গভীর পানি রয়েছে। বড় জাহাজ ঢুকতে হলে অবশ্যই ১২ ফুট পানি থাকতে হবে। সে কারণেই জাহাজগুলো বন্দর পর্যন্ত ভিড়তে পারছে না। বন্দরটি প্রথম শ্রেণির নৌবন্দর হিসেবে উন্নীতকরণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বড় জাহাজগুলোও ভিড়তে পারবে। অতিরিক্ত মালপত্র নিয়ে আসার কারণে বড় জাহাজগুলো ভিড়তে পারে না। বন্দরটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা হলে পানির গভীরতা থাকবে ১২ ফুট। তখন আর সমস্যা হবে না।