পর্যটকদের মধ্যে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে ১৯ প্রজাতির ভিনদেশি টিউলিপ

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে ভিনদেশি ফুল টিউলিপ বাগান। গত শুক্রবার পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য ফিতা কেটে বাগানের প্রবেশপথ উন্মুক্ত করেন- ইএসডিও'র নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান ও পরিচালক (প্রশাসন) ড. সেলিমা আখতার। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়ন, কারিগরি ও অন্য সহায়তায় তৃতীয়বারের মতো তেঁতুলিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম দর্জিপাড়ায় টিউলিপ ফুল চাষ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এবারও ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটবে। গত দুই বছর টিউলিপ দেখতে এখানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে। প্রথমে আটজন নারী উদ্যোক্তা দিয়ে টিউলিপ চাষ শুরু হলেও এবার তা বেড়ে সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬ জনে। এই ১৬ জন মিলে ফোটাবেন ১৯ প্রজাতির ২৫ হাজার ভিনদেশি রং-বেরংয়ের টিউলিপ। এই টিউলিপ ফুল দেখতে হলে পর্যটকদের প্রবেশ ফি দিয়ে বাগানে প্রবেশ করতে হবে। ইএসডিও'র নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান ও পরিচালক (প্রশাসন) ড. সেলিমা আখতার বলেন, 'বাংলাদেশে খামার পর্যায়ে একদম প্রান্তিক কৃষাণ-কৃষাণী দিয়ে টিউলিপ চাষের তৃতীয় বর্ষ চলছে। এবার টিউলিপের ভাল্ব (বীজ) ও বিশ্বব্যাপী ডলার সংকটের কারণে টিউলিপ চাষ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছে। তবে এবার একটি ভালো দিকও রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে টিউলিপ ২১-২৪ দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যেত। এবার আমরা প্রত্যাশা করছি, দুই মাসব্যাপী এই ১৯ প্রজাতির টিউলিপের সৌন্দর্য ও সৌরভ তেঁতুলিয়া থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। আমরা সারাবছর পর্যটক আকর্ষণের জন্য বিকল্প পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। পর্যটকরা টিউলিপ ফুল দেখার পাশাপাশি চাইলে কিনেও নিতে পারবেন, আমরা সেই ব্যবস্থাও রেখেছি। এ মাসের মধ্যেই ফুলে ফুলে ভরে যাবে টিউলিপ বাগান।' ইএসডিও তেঁতুলিয়ার ব্যবস্থাপক ওলিয়র রহমান জানান, 'আমাদের ইএসডিও'র নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান ও পরিচালক (প্রশাসন) ড. সেলিমা আখতার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালিয়ে পর্যটনশিল্পকে সমৃদ্ধ করার জন্য এই টিউলিপ চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। তৃতীয়বারের মতো এবার ২৫ হাজার ভাল্ব (বীজ) বোপণ করা হয়েছে, আশা করছি, টিউলিপ চাষিরা অনেক লাভবান হবেন। টিউলিপ প্রজেক্টের কৃষিবিদ কল্যাণ মহন্ত জানান, এখানকার আবহাওয়া টিউলিপ চাষের অনূকূলে। টিউলিপ ফুল প্রায় ২৫০ প্রজাতির রয়েছে। তাই এখানে কোন কোন প্রজাতি এই মাটির জন্য উপযোগী, তা সার্বক্ষণিক তদারকি করছি। টিউলিপ কৃষাণী মোর্শেদা বেগম ও আয়েশা সিদ্দিকা জানান, আমরা আশা করছি, এবছর টিউলিপ চাষে অনেক লাভবান হবো। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংঘ নিরোধের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক নূর হাসান জানান, টিউলিপ বাগান এর আগেও আমি দেখেছি, আজকেও দেখলাম, এটার অনুভূতিই অন্যরকম। টিউলিপ বাগান দেখতে আসা ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাঠক জানান, ইএসডিও তত্ত্বাবধানে ১৯ প্রজাতির টিউলিপ চাষের মাধ্যমে নারী কৃষাণীদের কর্মসংস্থান আর্থসামাজিক উন্নয়ন তথা সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন হবে।