সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের টাঙ্গুয়ার হাওড় পারে অবস্থিত মন্দিয়তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়ে অনুমোদিত শিক্ষকের পদ পাঁচটি। কিন্তু কখনোই পাঁচজন শিক্ষকের পদ পূরণ করা হয়নি। ২০১৫ সাল থেকে দীর্ঘ ৮ বছরের বেশি সময় প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। সেই সঙ্গে চারজন সহাকরী শিক্ষকের পদ কখনো পূরণ হয়নি। কখনো দু'জন কখনো একজন শিক্ষক কোনো রকমে চালাচ্ছেন বিদ্যালয়। এরই মধ্যে গত বছর ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাসে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিন ডেপুটেশন নিয়ে মাটিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে যান। তখন থেকে একজন শিক্ষই বিদ্যালয়টি দেখভালো করছেন। শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিদ্যালয়ে ২১৫ কোমলমতি শিশু।
বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক সানজু মিয়া শিক্ষক সংকটের বিষয়টি তাহিরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানলে চলতি বছর ২০২৪ সালে তরং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সেতারা বেগম নামে এক সহকারী শিক্ষিকাকে প্রেষণে নিয়োগ দেন কিন্তু সেতারা বেগম সপ্তাহে একদিনও বিদ্যালয়ে আসেন না।
শিক্ষক সেতারা বেগমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি অসুস্থ থাকায় তরং থেকে হেঁটে মন্দিয়াতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করা তার পক্ষে কষ্ট হয়। তাই তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারেন না।
মন্দিয়াতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক অভিভাক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন বলেন, শিক্ষক সংকটের মধ্যে সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিনকে ডেপুটেশনে দেওয়া হয়েছে অন্য বিদ্যালয়ে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে স্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন একজন। একজন শিক্ষক কীভাবে পাঁচটি শ্রেণির ক্লাস নেবেন। সেই সঙ্গে তিনি যেদিন অফিসের কাজে উপজেলা সদরে চলে যান সেদিন বিদ্যালয় বন্ধই রেখেই থাকে উপজেলা সদরে যেতে হয়।
তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, নতুন শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় পোস্টিং দেওয়া যাচ্ছে না। নতুন শিক্ষক নিয়োগ হলে সমস্যা কিছুটা কমবে।