চট্টগ্রামের বাঁশখালী বিএনপি নেতা ও বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড খামারুপাড়া এলাকার তার নিজ বসতঘরে ব্যাপক তলস্নাশি চালায় গোয়েন্দা পুলিশ ও বাঁশখালী থানা পুলিশ। এ সময় অভিযানে দু'টি বিদেশি পিস্তল, পাঁচটি দেশীয় তৈরি এলজি, দু'টি কাটা বন্দুক, একটি দেশীয় বন্দুক, বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের ৭২ রাউন্ড গুলি, ২৬টি কার্তুজ, পাঁচটি চাইনিজ কুড়াল, একটি কিরিচ, ছয়টি কাঠের বাঁটযুক্ত ধারালো রাম দা এবং ৪০টি বিভিন্ন সাইজের গইট্টা (লাঠি) উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার বাঁশখালী থানার হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার বিষয়ে প্রেস বিফ্রিং করেন সহকারী পুলিশ সুপার সোহানুর রহমান সোহাগ ও বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ।
বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'লেয়াকত আলীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। তিনি বিভিন্ন সময় এলাকায় বসে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। তার বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুরসহ নানা অপরাধে বাঁশখালী ও হাটহাজারী থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, 'লেয়াকত তার এলাকায় একজন ভূমিদসু্য, চাঁদাবাজ নামে পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারে বেশ কয়েকবার অভিযান করা হলেও তিনি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। তবে বুধবার সন্ধায় রাজধানীর মতিঝিল থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এক পর্যায়ে তিনি তার কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুত রয়েছে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে।'