ভরতখালী রেলওয়ে স্টেশনের কোটি টাকার সম্পদ হরিলুট
প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নে অবস্থিত ভরত খালী পুরনো রেলওয়ে স্টেশনের রেলপাত হরিলুটের ঘটনা খবর পাওয়া গেছে।
ভরতখালী রেলওয়ে স্টেশন ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল যা উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার মানুষের ট্রেনে রাজধানীতে যাতায়াতের একমাত্র পথ ছিল। বোনারপাড়া থেকে তিস্তামুখ ঘাট পর্যন্ত রেল যোগাযোগের মাঝের স্টেশনটির নামই ভরতখালী রেলওয়ে স্টেশনটি এক সময় যাত্রীর পদভারে মুখরিত ছিল স্টেশনটি। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় তিস্তামুখ ঘাটটি বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। এতে মুখ থুবড়ে পড়েছে অত্র রেলওয়ে স্টেশনটি যা প্রায় দীর্ঘ ২০ বছরের অধিক সময় ধরে বন্ধ রয়েছে।
দীর্ঘদিন যাবৎ রেলওয়ে স্টেশনটি বন্ধ থাকার কারণে বিভিন্ন কুচক্রী মহল সুযোগ পেয়েছে রেলের মালামাল লুটপাটের খবরাখবর প্রায় প্রতিদিনই দেখা যায় স্টেশনটির মেইন ইয়ার্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে রেলপাত উধাও। কে বা কারা করছে এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করা দরকার বলে জানিয়েছে স্টেশনের আশপাশে থাকা সচেতন মহল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি এ স্টেশনের পাশের এক পুকুর থেকে দুই পিস রেললাইনের খন্ড নজরে আসে স্থানীয়দের। যার আনুমানিক দৈর্ঘ্য ১০ ফুট ও ১৫ ফুট প্রায়। পরে ঘটনার জানাজানি হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে রেলগুলোকে উদ্ধার করেন স্টেশনের একমাত্র সিকিউরিটি সংবলিত কাজে নিয়োজিত থাকা টুকু মিয়া।
এ ব্যাপারে সংবাদ সংগ্রহে গেলে স্থানীয়রা জোর দাবি জানায় উদ্ধারকৃত রেলগুলোকে যেন সরকারের রেলের কোষাগারে সঠিকভাবে জমা দেওয়া হয়। বিশাল এলাকাজুড়ে এই স্টেশনটিতে মাত্র একজন সিকিউরিটি দিয়ে দেখভাল করা আদৌ সম্ভব না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় লিটন মন্ডল। এ বিষয়ে রেলওয়ের কর্মকর্তা সাইদুর রহমানের জানান, রেল উদ্ধারের বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। তবে বিশাল এরিয়াজুড়ে রেললাইন চুরি হওয়ার বিষয়ে তিনি জানেন না। দীর্ঘদিন বিপুল পরিমাণে রেললাইন থেকে রেল গায়েব হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রশাসনদের। অতীতেও বিভিন্ন পত্রপত্রিকাসহ টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে এ স্টেশনের বেহাল দশা তুলে ধরে।