গুচ্ছে থাকতে ইবিকে ইউজিসি'র নির্দেশ গুচ্ছে থাকতে ইবিকে ইউজিসি'র নির্দেশ
প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ইবি প্রতিনিধি
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে নিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে (ইবি) নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। শুক্রবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে (কৃষি ও জিএসটি) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে কমিশনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গুচ্ছ পদ্ধতি একটি প্রমাণিত সফল পদ্ধতি, এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর অভিপ্রায় রয়েছে, এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে বিধায় গুচ্ছ থেকে বের না হয়ে গুচ্ছের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ফলে মোট ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত করা হয়।
এদিকে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করার জন্য ইবির উপস্থিতিতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যায়সমূহের ভর্তি কমিটির একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে পরবর্তীতে গুচ্ছে না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলে সেটা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়। ফলে বিষয়টি নিয়ে কমিশন হতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এর সঙ্গে আলাপ করা হলে তিনি বিষয়টি অবহিত নন মর্মে মৌখিকভাবে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন শিক্ষক প্রতিনিধির সঙ্গে কমিশন কর্তৃপক্ষ এক মতবিনিময় সভার আহ্বান করেন। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের ৬ শিক্ষক নেতাকে শনিবার ডেকেছেন। সেখানে আলোচনার ওপর ভিত্তি করে আমরা গুচ্ছের বিষয়ে জানাব।
উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর শেখ আবদুস সালাম বলেন, 'আমি নির্দেশনাটা দেখেছি। আমি এখন বাইরে আছি আগামীকাল এসে সবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব। আর সরকার কোনো নির্দেশ দিলে এর বিরুদ্ধে যাওয়া আমাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মুশকিল হয়ে যায়।'
নির্দেশনার বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা আসলে আমি জানি না। যেখানে আমরা শতভাগ সরকারের ওপর নির্ভরশীল সেখানে বিচার-বিশ্লেষণ না করে আমি সিদ্ধান্ত বলতে পারি না।'
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি গুচ্ছের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে ভর্তি কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পরে সভার সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে উপাচার্যকে জানানো হয়। পরে ২৯ জানুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।