সংরক্ষিত নারী আসন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আগামী ১৪ মার্চ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন। গত ৬ ফেব্রম্নয়ারি সকাল ১০টা থেকে গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাদের মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও দাখিল করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলায় ৬টি সংসদীয় আসন। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নের প্রত্যাশায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
প্রার্থীরা হলেন সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সদ্য সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস মিনারা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি শামীমা চৌধুরী বিথি, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য বিউটি কানিজ ওরফে এমবি কানিজ, নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অধ্যাপিকা নুরুন্নাহার বেগম, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুমা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা মিলি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত তৌফিক আহমেদের ছোট ভাই পিপন আহমেদের স্ত্রী সাবিহা হক মৌসুমী।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একেএম ইকবাল আজাদের স্ত্রী। দলীয় গ্রম্নপিংয়ের কারণে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সরাইল সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ইকবাল আজাদ ঘাতকদের হাতে খুন হন। এর পর থেকে শিউলী আজাদ রাজনীতিতে যোগদান করেন ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারো তিনি প্রার্থী হয়েছেন।
মিনারা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি একজন রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া) হত্যাকান্ডের পর তিনি চরম প্রতিকূল পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রাখেন।
বিউটি কানিজ বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য। তিনি ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সদস্য। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ঢাকা মহানগর) শাখার সাবেক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাবেক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
শামীমা চৌধুরী বিথি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি। তিনি ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সদস্য, তিনি ইডেন মহিলা কলেজ শাখার (১৯৯১-৯২) সালে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি, সাপ্তাহিক গতিপথ'র সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখার সাবেক মহিলা সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
রুমা বেগম নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র-সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজির মিয়ার স্ত্রী। তার পিতা লে. গোলাম নূর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রুমা বেগম ও তার স্বামী নাজির মিয়া দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়নগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান ওরফে মুকাই আলীর স্ত্রী।
সাবিহা হক মৌসুমী একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত তৌফিক আহমেদের ছোট ভাই পিপন আহমেদের স্ত্রী।
অধ্যাপিকা নূরুন্নাহার নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। তিনি জেলা পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত আসনের সদস্য।