গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে রাতের আঁধারে সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় সেচ অভাবে এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দুইশ' বিঘা জমির বোরো ধান চাষ। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় পুনঃট্রান্সফরার বসানোর উদ্যোগ না নেওয়ায় সেচ অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
গত বুধবার উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের গড়েয়া পাথার ঘুরে দেখা যায়, চুরি যাওয়া দু'টি সেচ পাম্পের আওতায় থাকা অর্ধশতাধিক কৃষকের চাষাবাদ পানি অভাবে বন্ধ রয়েছে। বিস্তীর্ণ গড়েয়া পাথারের জমিতে হালচাষ সম্পন্ন করেছেন কৃষকরা। চারা রোপণের জন্য এখন প্রয়োজন পানি। জমিতে পানি নিতে না পারায় দিকবিদিক ছোটাছুটি করছেন কৃষকরা। কেউ রোপিত ধানের চারা বাঁচাতে অতিরিক্ত অর্থব্যয়ে দূরের সেচপাম্প থেকে পানি নিচ্ছেন ক্ষেতে। কেউবা জমিতে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি গভীর রাতে ওই পাথারের বিদু্যতের পোল থেকে দু'টি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়। পরদিন সকালে ট্রান্সফরমারের ফেলা যাওয়া পরিত্যক্ত অংশ পড়ে থাকতে দেখেন ভুক্তভোগীরা।
ট্রান্সফরমার চুরি যাওয়া সেচপাম্প মালিক ওই ইউনিয়নের পার্বতীপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান জানান, ওই রাতে জমিতে পানি সেচ দিয়ে মেশিন ঘরেই ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে মেশিন চালু না হওয়ায় ভাবেন বিদু্যৎ নেই। পরবর্তীতে ফাঁকা জমিতে পরপর দু'টি ট্রান্সমিটারের পরিত্যক্ত অংশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কৃষকরা। তখন বুঝতে পারেন রাতের আঁধারে কে বা কারা বেস্নড দিয়ে মোটা রড কেটে সেচপাম্প মেশিনের ট্রান্সমিটার চুরি করে নিয়ে গেছে। ফলে সেচ পাম্প দু'টির আওতায় থাকা অন্তত: দুইশ' বিঘা জমির চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে।
ট্রান্সফরমার চুরি যাওয়া অপর সেচপাম্প মালিক গড়েয়া গ্রামের কাজেম উদ্দীন জানান, ঘটনার পরদিনই পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী ইউএনও কামরুল হাসান বলেন, ওই সেচপাম্প মালিকরা ব্যক্তগত উদ্যোগ-খরচে পলস্নী বিদু্যৎ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ট্রান্সফরমার বসিয়ে থাকেন। এখানে এ মুহূর্তে সরকারিভাবে কোনো সাহায্য-সহায়তার সুযোগ নেই। তবে দ্রম্নত চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।