শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

আবাসন সংকট ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কুলাউড়ায় নগরায়ণের উদ্যোগ

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
আবাসন সংকট ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কুলাউড়ায় নগরায়ণের উদ্যোগ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভায় পরিকল্পিত নগর উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। আবাসন সংকট এবং জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে শহরের মধ্য দিয়ে প্রবহমান খাল খনন করে নদীর উভয় তীরে নির্মাণ করা হচ্ছে রাস্তা। আর এই খাল খনন এবং রাস্তা নির্মাণের ফলে আবাসন, শহরের যানজট ও জলবদ্ধতা সমস্যা দূর হবে বলে আশা করছেন পৌরবাসী।

জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর কুলাউড়া শহরকে পৌরসভা ঘোষণা দেওয়া হয়। ধাপেধাপে সি-গ্রেড থেকে বি-গ্রেডে এবং কুড়ি বছরের মাথায় এ-গ্রেডে উন্নিত হয়। গ্রেড উন্নয়ন হলেও বিগত দিনে পৌরসভার কাঙ্ক্ষিত কোনো উন্নয়ন হয়নি, বাড়েনি নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। ১০ দশমিক ৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কুলাউড়া পৌরসভায় ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৯৩৪ জন। পৌরসভায় ৩৯০২টি পরিবার বাস করে। কিন্তু এসব কাগজে-কলমে। সর্বশেষ ২০২১ সালের পৌর নির্বাচনের তথ্য অনুয়ায়ী কুলাউড়া পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৭৫৯। আর জনসংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে লক্ষাধিকে উন্নিত হয়েছে। জনসংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি আয়তন। ফলে আবাসন সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

পৌরসভার প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে ড্রেনেজ নির্মাণ কাজের পাশাপাশি পৌরসভার ভেতর দিয়ে প্রবহমান খাল-নদী খননের কাজ চলছে। এতে শহরের জলাবদ্ধতা দূর হবে। মেয়রের নির্বাচনপূর্ব পরিকল্পিত নগরীর প্রতিশ্রম্নতিও বাস্তবায়ন হবে। উছলাপাড়া ও বাদেমনসুর এলাকায় রাস্তার অভাবে বিশাল এলাকা এখনো কৃষিজমি। শুধুমাত্র নদীর উভয় তীরকে রাস্তা বানালে সেই এলাকাগুলোতে গড়ে উঠবে আবাসন।

কুলাউড়া পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন জানান, পৌরসভার উছলাপাড়া-মাগুরা ও বাদেমনসুর এলাকার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত মরা গুগালী খালের উভয়পাড়ে নির্মাণ হচ্ছে রাস্তা। নির্মিত রাস্তাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় গড়ে উঠবে নতুন আবাসিক এলাকা। এই খালকে লেকে পরিণত করারও পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ফলে পৌরসভার সৌন্দর্যবর্ধন হবে এবং যানজট অনেকাংশে কমবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে