গাংনীতে বেড়েছে গমের আবাদ

প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
গত কয়েক বছর ধরে বস্নাস্ট রোগের কারণে গমের আবাদ কমেছিল মেহেরপুরের গাংনীতে। চলতি বছরে বস্নাস্ট প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলনশীল গমের নতুন নতুন জাত কৃষকদের হাতে আসায় এবার গমের আবাদ অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও গেল বছর গমের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চাষিরা গম আবাদে আগ্রহী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা। তবে কৃষি অফিসের তদারকি একেবারই নেই বলে অভিযোগ চাষিদের। আর কৃষি বিভাগ বলছে, চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মেহেরপুর অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া গম চাষের জন্য উপযোগী। গত কয়েক বছর বস্নাস্ট রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের গম চাষে নিরুৎসাহিত করা হয়। গেল বছর বস্নাস্ট প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলনশীল গমের নতুন নতুন জাত আবাদ করে কৃষকরা শঙ্কামুক্ত হয়েছেন। গমের মূল্য বৃদ্ধি আর অনুকূল আবহাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে ৭ হাজার ৬৫ একর জমিতে গম চাষ হয়েছে। বারি ৩০, ৩৩ ও বিডবিস্নউ-৩ জাতের গম চাষ করছেন চাষিরা। বাজার দর ভালো থাকলে আগামীতে এ অঞ্চলে গমের আবাদ আরও বাড়বে। তবে কৃষি অফিসের কোনো পরামর্শ পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেছেন চাষিরা। গম ক্ষেতে রোগ বালাই দেখা দিলে কীটনাশক বিক্রেতা চাষিদের একমাত্র ভরসা। গাংনীর পলাশীপাড়া গ্রামের গম চাষি ইমারুল ইসলাম জানান, তিনি চলতি মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে বারি-৩০ ও ৩৩ জাতের গম আবাদ করেছেন। এখন বুকে থোড় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে গম গাছ। গেল বছর তিনি চার বিঘা জমিতে গম চাষ করেছিলেন। গম চাষ বেশি লাভজনক। এক বিঘা গম আবাদে খরচ হয় মাত্র ৬ হাজার টাকা। আর পাওয়া যায় ২০ মণ গম। তিনি আশা করছেন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো ফলন হবে এবং গমচাষিরা লাভবান হবেন। গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, তাপ, ক্ষরাসহিষ্ণু জমি গম আবাদের জন্য উপযোগী। বস্নাস্ট প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলনশীল গমের নতুন নতুন জাত চাষিদের গম চাষে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রয়েছে।