ছাগলনাইয়ার সেই ২৩ যুবককে ত্রিপুরার মনুবাজার থানায় হস্তান্তর

প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ফেনী প্রতিনিধি
বিএসএফ'র হাতে আটক ফেনীর ছাগলনাইয়ার ২৩ যুবককে চোরাকারবারী হিসেবে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মনুবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গত বুধবার অফিসিয়ালি বিজিবিকে বিষয়টি অবগত করেছে বিএসএফ। রাতের দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফেনীস্থ-৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা। তিনি জানান, বিএসএফ জানিয়েছে গত মঙ্গলবার আটক ২৩ বাংলাদেশিকে স্থানীয় মনুবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রয়োজনীয় মেডিকেল চেকআপসহ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরবর্তীতে ভারতের ত্রিপুরার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা আরও জানান, এ ব্যাপারে গত দু'দিনে একাধিকবার বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত বৈঠক হয়েছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আটকরা যখন ছাড়া পাবেন, তখন তাদের বিষয়ে বিজিবি'র পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত সোমবার রাতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৯৯নং পিলার সংলগ্ন ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকা থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ। তবে স্থানীয়দের দাবি, গত সোমবার রাতে উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকায় এক ব্যক্তিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে এমন গুঞ্জন শুনে খবর নিতে সেখানে ছুটে যায় এলাকাবাসী। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। তখন অনেকেই পালিয়ে দেশে আসতে সক্ষম হলেও সেখান থেকে ২৩ জনকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। অন্যদিকে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের চিনি চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক করেছে বলে দাবি করে আইনের আওতায় এনেছে বলে জানা যায়। আটকরা হলেন ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের সাইমুম হোসেন (১৯), রাইসুল ইসলাম (১৯), সামিন (৪০), হারুন (২৩), লিটন (৩০), মাঈন উদ্দিন (২০), রাধানগর এলাকার মহসিন (২৫), কাজী রিপন (৪০), তাজুল ইসলাম সাকিল (২২), হানিফ (৩৫), আবুল হাসান (৩০), ইমরান (২২), রুবেল (২৮), জাফর ইমাম মজুমদার (৪০), মো. ওবায়দুল হক (৪৪), জামাল উদ্দিন (৪০), আরিফ হোসেন (২৪), করিম (২০), ছাগলনাইয়া এলাকার মটুয়া এলাকার খোরশেদ (৩৮), আজাদ হোসেন (২৫), মাহিম (২৫), হারুন (৩২) ও ইমাম হোসেন (২২)।