নাটোরে অপহরণের ১৯ বছর পর দুই জনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে মাদক কারবারির যাবজ্জীবন
প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
নাটোরে অপহরণের ১৯ বছর পর দু'জনের এবং নড়াইলে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মাদক কারবারির যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে তার মামার করা মামলার প্রায় ১৯ বছর পর দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন নাটোর সদরের হয়বতপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৫৯) ও জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার লক্ষ্ণীপুর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রান্টু মিয়া (৩৯)।
মামলার বাদী ইদ্রিস আলী জানান, তার বোন ভগ্নিপতি বাড়িতে না থাকার সুবাদে ২০০৫ সালের ২৫ মে আসামিরা ফুসলিয়ে তার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ভাগ্নিকে অপহরণ করে। ভাগ্নির খোঁজ না পেয়ে তিনি নাটোর থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার প্রায় ১৯ বছর পর আদালত অভিযুক্ত দু'জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। জরিমানার অর্থ ওই ছাত্রীকে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দন্ডপ্রাপ্ত দু'জন পেশায় রাজমিস্ত্রি। ঘটনার সময় তাদের একজনের বয়স ৪০ ও আরেকজনের বয়স ২০ বছর ছিল। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নড়াইল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নড়াইলে মাদক মামলায় নাছির উদ্দিন শেখ নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তার সহোযোগী মোহাম্মদ আলম শেখকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার নড়াইল জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকরাম হোসেন এ আদেশ দেন। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহাবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি নাছির উদ্দিন শেখ নড়াইল সদরের রগুনাথপুর গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে এবং পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আলম শেখ উপজেলার নাকসী গ্রামের আব্দুল আজিজ শেখের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর নড়াইল শহরতলির মালিবাগ মোড় থেকে আসামিদের ৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ দন্ডাদেশ দেন আদালত।