যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান আমিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউনিয়নের ১২ জন ইউপি সদস্যের মধ্যে ১০ জন সদস্য।
ইউপি মেম্বরদের লিখিত অভিযোগে উলেস্নখ করা হয়েছে, গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নে ৭ হাজার হোল্ডিং পেস্নট বিতরণ করে সাত লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। সেই টাকা পরিষদে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন। তিন অর্থবছরে আনুমানিক ২৩ লাখ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ আদায় করলেও চেয়ারম্যান সেই টাকা ইচ্ছামতো খরচ করেছেন। মেম্বাররা টাকার হিসাব চাইলে তিনি গালিগালাজ করেন। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত চাল থেকে চেয়ারম্যান ১১ বস্তা চাল আত্মসাৎ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন সেই চাল উদ্ধার করে একটি আড়ত সিলগালা করে। বিভিন্ন সময় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতার কার্ড বিতরণ, প্রতিস্থাপন, ট্রেড লাইসেন্স ও পরিষদের অন্য আয় সম্পর্কে মেম্বারদের অবহিত করা হয় না। জানতে চাইলে চেয়ারম্যান গালিগালাজ করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই চেয়ারম্যান পরিষদে আসেন না। ফলে সেবাগ্রহীতারা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনকি চেয়ারম্যানের অফিস বন্ধ থাকায় মেম্বাররাও অফিসে বসতে পারেন না। বিভিন্ন সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা (মেম্বার) হলেন- তালিমুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, মামুন হোসেন, মো. আশরাফুল, শফিকুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য এলিজা শিরিন, তানিয়া সুলতানা ও রাজিয়া সুলতানা।
তবে গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান আমিন দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক।
ঝিকরগাছা ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল জানান, 'এর আগেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সেটা তদন্ত করা হয়েছে। নতুন করে আবারও অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে ডিসি স্যার এবং ডিডিএলজি স্যারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাব। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।'