'গাজীপুরের পাঁচ উপজেলায় ১১ মাসে ২৮৬ নারী নির্যাতনের শিকার'

গাজীপুরের ৫ উপজেলায় গত ১১ মাসে ২৮৬ জন নারী বিভিন্ন মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ১০২ নারী, মানসিক নির্যাতনের ১১২, মৌখিক নির্যাতনের শিকার ৬৬ ও সাইবার নির্যাতনের শিকার ৬ জন। এর মধ্যে শিশুসহ ২৯ জন স্কুল শিক্ষার্থী ছিলেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুর প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে গাজীপুর আইন ও সালিশ কেন্দ্রের অগ্নি প্রকল্প নারীর প্রতি সহিংসতা অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন ও মতবিনিময় সভায় 'অগ্নি' প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান ওই তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত আইন ও সালিশের অগ্নি প্রকল্পের সিএসও সদস্যদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের পরিসংখ্যান এটি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী আইনি সেবা প্রয়োজন ছিল ৯৫ জন নারীর, চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন ছিল ১৯ জন নারীর, মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ সেবা প্রয়োজন ছিল ৭৫ জন নারীর, আশ্রয় সেবা প্রয়োজন ছিল ৩৬ জন নারীর, ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের প্রয়োজন ছিল একজন নারীর এবং নিরাপত্তার প্রয়োজন ছিল একজন নারীর। অগ্নি প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক কাউন্সিলিং সেবা প্রদান করা হয় ১২০ জন নারীকে, আইনি সহায়তার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয় ৭০ জনকে, সিএসও'র উদ্যোগে স্থানীয় পর্যায়ে সালিশের ব্যবস্থা করা হয় ২৬ জন নারীর, চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ৯ জন নারীকে, আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ৪ জন নারীকে, পরামর্শের ভিত্তিতে কোর্ট কেস করেন ১১ জন নারী। এ সময় তারা গত ১১ মাসের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে সংগৃহীত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। সেখানে মোট ৮৮ জন নারী নির্যাতনের মধ্যে শিকারের তথ্য উঠে আসে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২২ জন নারী, হত্যা ও অপহরণের শিকার ২৫ নারী, শারীরিক নির্যাতনের শিকার ১০ জন এবং আত্মহত্যা এবং বস্ন্যাকমেইলের শিকার হন ১৩ জন নারী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুক ফয়সাল ও গাজীপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন আহাম্মদ।