আজকের যায়যায়দিন

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানান দিতে কুইজ প্রতিযোগিতাসহ অনন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমে শিশুদের উদ্বুদ্ধ করতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক এ উদ্যোগ নিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর বাল্যকালে শিক্ষাজীবন শুরু করা বিদ্যাপীঠ উপজেলার জিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুশ' শিক্ষার্থীকে গত মঙ্গলবার টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে নিয়ে আসা হয়। সেখানে এসে শিশুরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায়।

এরপর সমাধিসৌধ কমপেস্নক্সের ওপেন থিয়েটারে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও শিশুদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেশন শেষে অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা। পরে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

ইউএনও মঈনুল হক বলেন, 'দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিশুরা টুঙ্গিপাড়া এসে বঙ্গবন্ধুকে জানে ও জ্ঞান লাভ করে। কিন্তু টুঙ্গিপাড়ার শিশুরা এ সুযোগ পায় না। তাই টুঙ্গিপাড়ার শিশুদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানান দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছি। বঙ্গবন্ধু জিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেছিলেন। এখানে তিনি তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ওই বিদ্যালয়ের শিশুদের দিয়ে আমরা এ কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের নিয়ে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।'

ুএবার জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার 'ছানামুখী মিষ্টি'

জিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিবরুল ইসলাম বলেন, এটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একটি অনন্য উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সাহস, দেশপ্রেম ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এই প্রজন্ম বেড়ে উঠবে। ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিহাব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে স্কুলে পড়তেন সেই স্কুলে পড়ে আমরা গর্বিত। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছি এবং কুইজে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সাহস, দেশপ্রেম, আদর্শ ও ত্যাগের ইতিহাস জানতে পেরেছি।

অভিভাবক নাহিদ সুলতানা বলেন, ইউএনও শিশুদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে চাইছেন। এতে শিশুরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকবে। দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।