বাগেরহাটের মোলস্নাহাটে ব্রাইট মৎস্য খামারে দূর-দূরান্ত থেকে মুরগির পচা নাড়িভুড়ি/উচ্ছিষ্ট পরিবহণ করায় অসহনীয় ও ক্ষতিকর দুর্গন্ধে সর্বসাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে নিয়মিত দূর-দূরান্ত থেকে মুরগির পচা নাড়িভুড়ি/উচ্ছিষ্ট উপজেলার চর আস্থাইল গ্রামে ব্রাইট মৎস্য খামারে নিজস্ব পরিবহণ/ট্রাকে আনার কারণে সর্বসাধারণকে এই অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মিত ক্ষতিকারক এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় গত রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে পরিবহণের মাধ্যমে অসহনীয় এই দুর্গন্ধ ছড়ানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ ধরনের কোনো কিছু খামারে পরিবেশন মৎস্য আইনে নিষিদ্ধ এবং মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
একাধিক দোকানদার, শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, চাকরিজীবী ও ভ্যানচালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানান, উপজেলার চর আস্থাইলে ব্রাইট মৎস্য খামারে দীর্ঘ দিন ধরে নিয়মিত মুরগির পচা নাড়িভুড়ি/উচ্ছিষ্ট ট্রাকে করে আনা হয়।
দূর-দূরান্ত থেকে অসহনীয় দুর্গন্ধময় এসব পচা নাড়িভুড়ি উচ্ছিষ্ট যখন আনা হয় তখন সড়কের পাশের দোকানদার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বাড়িঘরের মানুষসহ পথচারী/সর্বসাধারণের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। অসহনীয় দুর্গন্ধে নাকমুখ চেপে রেখেও রেহাই মেলে না, পেট ব্যথা হয়ে যায়। অনেকে দোকান-প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ছেড়ে দৌড়ে দূরে চলে যায়, ওই ট্রাক দেখলেই সবার চেহারায় এক ধরনের আতঙ্ক প্রকাশ পায়। এর থেকে পরিত্রাণ চায় সবাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন সরকার বলেন, এটা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, মৎস্য আইন/নীতিমালা অনুযায়ী এ ধরনের কোনো কিছু মৎস্য খামারে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এমনকি খামারে গোবরও দেওয়া যাবে না। এগুলো মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এ বিষয়ে খামার মালিক মাসুদ হাসান লিটন জানান, দিনের বেলায় পরিবহণের বিষয়টি তিনি জানতেন না। গভীর রাতে আনলে মানুষ কষ্ট পেত না। তার অজান্তে প্রতিষ্ঠানের যে বা যারা দিনে এগুলো আনছে, তার বা তাদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।