কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে মাঘের ঠান্ডা উপেক্ষা করে এখানকার ছয়টি ইউনিয়নে শেষ মুহূর্তের বোরো চাষের কর্মব্যস্ততা শুরু হয়েছে কৃষকের।
বোরো ধানক্ষেত তৈরিতে হালচাষ, সেচ, বীজতলা থেকে বোরো ধানচারা তুলে এনে তা জমিতে রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষক। বোরো চাষকে উপলক্ষ করে কৃষকের সঙ্গে এখানকার দিনমজুরাও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এবার উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রার ১০ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ শুরু হয়েছে। বোরা চাষের লক্ষ্যমাত্রার অনুযায়ী এখানে শেষ মুহূর্তে হলেও বোরো ধান চারা রোপণে কৃষকের ব্যস্ততা বেড়েছে।
স্থানীয় বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার কৃষক আলতাফ হোসেন জানান, মাঘের ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে ৩ বিঘা জমিতে বোরো চারা রোপণ করেছি। প্রতিবিঘা জমিতে হালচাষ, সেচ, ধানচারা রোপণের শ্রমিক খরচ মিলে প্রায় ৩ হাজার টাকার করে ব্যয় হয়েছে।
উত্তর কটিচন্দ্রখানা গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান জানান, বোরো ধান চারা রোপণের সঠিক সময় হওয়ায় মাঘের তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে এক বিঘা জমিতে বোরো ধানচারা রোপণ করেছি। নিজের কলের লাঙল থাকায় তুলনায় বোরো চাষে ব্যয় কমে।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানান, এবার ফুলবাড়ী উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমি। এসব জমিতে কৃষকরা পুরোদমে বোরো ধান চারা রোপণ করছেন। এ পর্যন্ত ৭০ ভাগ জমিতে বোরো ধান চারা রোপণ হয়েছে।