জাবিতে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে ইবি শাখা ছাত্রদল -যাযাদি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে যশোরে ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে যশোরে মহিলা দলের মানববন্ধন পুলিশি বাধায় পন্ড হয়েছে বলে জানা গেছে। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর-
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে যশোরে মহিলা দলের মানববন্ধন পুলিশি বাধায় পন্ড হয়ে গেছে। বুধবার যশোর আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩ ফেব্রম্নয়ারি ধর্ষণের ঘটনায় যশোরে মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করে জেলা মহিলা দল। এ উপলক্ষে জেলা, নগর বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা বেলা ১১টায় শহরের মুজিব সড়কস্থ আইনজীবী সমিতির সামনে জড়ো হন। এ সময় পুলিশের সদস্যরাও সেখানে অবস্থান নেয়। পরে নেতাকর্মী ছত্রভঙ্গ হয়ে এলাকা ত্যাগ করে।
জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুর নাহার পান্না বলেন, আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশে নারীদের নিরাপত্তা নেই। এই সরকার ক্ষমতায় এসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো পবিত্র স্থানে নারীরা নিরাপত্তায় নেই। তার উদাহরণ হলো জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নারী ধর্ষণ হওয়া।
তিনি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নারীদের ওপর লাথি মারা, ওড়না টেনে ধরাসহ শ্লীলতাহানি করার ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (অপারেশন) পলাশ কুমারকে অপসারণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মহিলা দলের অভিযোগ সত্য নয়। তারা কোনো অনুমতি না নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে সড়কে যানজটের সৃষ্টি করছিল। সেই কারণে তাদের দ্রম্নত জায়গা ত্যাগ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ইবি প্রতিনিধি জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল। বুধবার দুপুর ১টায় ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজারে মিছিল করেন সংগঠনের নেতাকর্মী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন। এ ছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক উলস্নাস মাহমুদ ও সালাউদ্দিন রানা, সদস্য রাফিজ আহমেদ ও নুর উদ্দিনসহ অন্য কর্মী ছিলেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ বলেন, 'জাহাঙ্গীরনগর'র ঘটনায় আমরা মর্মাহত সেই সঙ্গে আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।'
