পলস্নীবিদু্যৎ বিচ্ছিন্ন যশোর পৌর মেয়রকে আল্টিমেটাম দিলেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা

প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
যশোরের রেলস্টেশন হরিজন কলোনির বিদু্যৎ লাইন কেটে দেওয়ার প্রতিবাদে হরিজনদের বিক্ষোভ মিছিল -যাযাদি
আগামী ১২ঘণ্টার মধ্যে যশোর পৌরসভার রেল স্টেশন হরিজন কলোনির বিদু্যৎ লাইন সচল করে না দিলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছেন পৌরসভার হরিজনরা। বিদু্যৎ লাইন কেটে দেওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার যশোর শহরে বিক্ষোভ মিছিলে এ ঘোষণা দেন নেতারাকর্মী। যশোর পৌরসভার শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি মতিলাল বলেন, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টার মধ্যে যশোর পৌরসভার রেল স্টেশনের হরিজনদের দুটি কলোনির বিদু্যৎ লাইন সচল করে না দিলে যশোর পৌরসভার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম ঘোষণা করবেন। তিনি আরও বলেন, 'ব্রিটিশ আমল থেকে আমাদের বাপ-দাদারা বসবাস করে আসছেন। তবে কখনো তাদের বিদু্যৎ বিল দিতে হয়নি। প্রিপেইড মিটার দেওয়া মানে তাদের বিদু্যৎ বিল আগে দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। পৌরসভা তাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা করে বেতন দেয়। তা দিয়ে কী হয়? বেতন ভাতা না বাড়িয়ে বিদু্যৎ বিল তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এটা বড় অমানবিক বিষয়। এখানে প্রিপেইড মিটার লাগানো যাবে না, সংযোগ বিচ্ছিন্নও করা যাবে না।' এদিকে বিদু্যৎ লাইন কাটার প্রতিবাদে গত দু'দিন কাজ বন্ধ রেখেছেন যশোর পৌরসভার হরিজনরা। এতে শহরের মোড়ে মোড়ে ময়লার স্তূপ জমা হয়েছে। পশু-পাখি ময়লা ভাগাড় ঘেঁটে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে পথচারীদের মুখে কাপড় দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। শহরের রেলগেট তেতুলতলা এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরিচ্ছন্নকর্মীরা ময়লা না নিয়ে যাওয়ায় পশু-পাখিতে এসব ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া দরকার। যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরন লাল সরকার বলেন, বর্তমান মেয়র আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে রেল স্টেশন এলাকার হরিজন কলোনির বিদু্যৎ লাইন গত দু'দিন ধরে বিচ্ছিন্ন রেখেছে। তার প্রতিবাদে আমরা পরিচ্ছন্নের কাজ বন্ধ রেখেছি। এ ব্যাপারে যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকছিমুল বারী অপু বলেন, 'তিনটি কলোনির বিল বাকি শুধু সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। তাদের এ টাকা পৌরসভা পরিশোধ করবে না। তারা বলেছে, ওদের দাবি না মানলে তারা ডাস্টবিনের ময়লা নেবে না ও রাস্তা ঝাড়ু দেবে না। এখন তারা যাই করুক তাদের সঙ্গে কোনো আপসে যাওয়া হবে না। আমরা নিজেরা সবাই বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।'