নওগাঁর রাণীনগরে চলতি মৌসুমে জমিতে পানি সেচ না দিয়ে আলু ক্ষেত নষ্টের অভিযোগ ওঠেছে গভীর নলকূপ অপারেটর মোজাম্মেল মোলস্নার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক উপজেলা সেচ কমিটি এবং বিএমডিএ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে সু-বিচার দাবি করেছেন কৃষক এনামুল হক।
উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে কৃষক এনামুল হক অভিযোগ করে বলেন, চলতি মৌসুমে গ্রামের পশ্চিম মাঠে বিএমডিএর গভীর নলকূপের আওতায় প্রায় সাড়ে ১৬ শতক জমিতে আলু রোপণ করেছেন। একই মাঠে সব কৃষকের জমিতে পানি সেচ দিলেও তার জমিতে এক ফোটা পানিও সেচ দেননি গভীর নলকূপের অপারেটর একই গ্রামের মোজাম্মেল মোলস্না। এতে পানির অভাবে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, 'জমিতে পানি সেচ না দেওয়ায় স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে পানি সেচের জন্য ১৫শ' টাকা মিটমাট হলেও পরে আর পানি দেয়নি। ফলে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে জমিতে পানি সেচ দেয়নি। বাধ্য হয়ে সু-বিচার পেতে গত রোববার উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিএমডিএ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।'
স্থানীয় মেম্বার হেলাল উদ্দীন বলেন, 'আমরা বিষয়টি নিয়ে বসে সমাধান করেছিলাম। কিন্তু উভয় পক্ষের জেদের কারণে পরে ফের তা ভেস্তে গেছে।
এ ব্যাপারে গভীর নলকূপের অপারেটর মোজাম্মেল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে না পাওয়ায় মোজাম্মেলের ছেলে আব্দুল মমিন মোলস্না বলেন, ধানের জমিতে পানি সেচ দিয়ে গত দুই বছরেও এনামুল কোনো টাকা দেননি। তার জমিতে পানি সেচ ও জমিতে চাষ বাবদ ৩ হাজার ৩০০ টাকা পাওনা রয়েছি আমরা। টাকা চাইলে নানাভাবে টালবাহনা করে। ফলে আমরা জমিতে পানি সেচ দেইনি।'
রাণীনগর উপজেলা বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী ইমানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়টি দ্রম্নত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।