ধুনটে কিশোরীর নবজাতক শিশুকে এক লাখ টাকায় বিক্রি!

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার ধুনটে এক কিশোরীর নবজাতক শিশুকে এক লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ধুনট সদর ইউনিয়নের মাটিকোড়া গ্রামের মৃত আশাদুল ইসলামের মেয়ে আয়শা খাতুন (১৬) বেলকুচি গ্রামে তার নানা মৃত কপিল উদ্দিনের বাড়িতে নানি আছিয়া বেগমের সঙ্গে বসবাস করে আসছে। গত এক বছর আগে ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরির সুবাদে নওগাঁর নজিপুর এলাকার সোহেল নামে এক যুবকের সঙ্গে আয়শার বিয়ে হয়। কিছুদিন পর আয়শাকে বাড়িতে রেখে সোহেল জীবিকার তাগিদে ঢাকায় যায়। গত ২৮ নভেম্বর শেরপুর উপজেলার মাহবুব ক্লিনিকে একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেন আয়শা খাতুন। কিন্তু সন্তানের মুখ দেখার আগেই এক লাখ টাকায় শিশুটিকে ওই ক্লিনিক থেকেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আর মাত্র ৩০ হাজার টাকা মা আয়শার হাতে দেওয়া হয়। সম্প্রতি এ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আয়শা খাতুন বলেন, 'প্রতিবেশী নানা শাহীন আমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে শেরপুরের মাহবুব ক্লিনিকে সিজার করান। শুনেছিলাম আমার ছেলে সন্তান হয়েছে। কিন্তু দেখতে পারিনি। জ্ঞান ফেরার আগেই শাহীন নানা আমার সন্তানকে এক লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়ে টাকা নিয়ে চলে যান। পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আমাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করে দিয়েছে।' সন্তানকে দেখতে ইচ্ছা করে কিনা- এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আয়শা খাতুন মুহূর্তেই কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, 'কোনো মা কি তার সন্তানকে বিক্রি করতে চায়? আমিও চাইনি। আমাকে হুমকি-ধামকি দেওয়ার পর রাজি হয়েছি। আমার সন্তানকে অনেকবার দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা দেখায়নি। আমার সন্তানের ঠিকানা শুধু শাহীন নানাই জানেন। আমি আমার সন্তানকে ফিরে পেতে চাই।' আয়শার প্রতিবেশী নানার পুরো নাম রফিকুল ইসলাম শাহীন। তিনি ধুনট সদর ইউনিয়নের বেলকুচি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে এবং তিনি ধুনট উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। রফিকুল ইসলাম শাহীন বর্তমানে শেরপুর উপজেলায় বসবাস করেন। এ বিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, সন্তান বিক্রির বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে দ্রম্নত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।