দীঘিনালা ৫০ শয্যা হাসপাতালে আসন সংকটে ব্যাহত সেবা

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
দীঘিনালা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স নির্মাণ প্রকল্পের ২ বছরের কাজ ৫ বছরেও শেষ হয়নি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে একাধিকবার সময় বাড়িয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত সমাপ্ত হয়নি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের নির্মাণ কাজ। জানা যায়, উপজেলার উন্নত স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে পূর্বের ১০ শয্যা থেকে বাড়িয়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রকল্পটির কাজ করাচ্ছে হেলথ ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্টের আওতাধীন মেক কনস্ট্রাকশন। জেলার বৃহত্তর জনসংখ্যা বহুল উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের নির্মাণ কাজের ধীরগতিতে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে প্রচন্ড শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন রোগীর চাপ বাড়ায় শয্যা সংকটে। চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সটির নির্মাণ কাজের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে একাধিকবার সময় বাড়িয়ে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। ২ বছরের কাজ ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ করতে পারেনি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা এবং চিকিৎসা নিতে এসে দুর্ভোগে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এদিকে পুরনো জরাজীর্ণ টিন শেডের কুঁড়েঘরে বসে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে চিকিৎসকদের এবং পুরনো জরাজীর্ণ শয্যা গুলোতেই রোগী ভর্তি করানো হচ্ছে। শয্যা সংকটের কারণে শীতের মধ্যে জরাজীর্ণ ঘরের ফ্লোরে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে সেবা নিতে এসে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকেই। দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তণয় তালুকদার জানান, একাধিকবার সময় বাড়িয়ে নেওয়ার পরও শেষ করতে পারেনি স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের নির্মাণ কাজ। স্বল্প শয্যা নিয়ে অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকায় তারা চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ভবনগুলোর কাজটি দ্রম্নত শেষ হলে মানসম্মত সেবা পাবে উপজেলার হাজারো মানুষ। এদিকে প্রকল্পটির তত্ত্ব্বাবধায়ক মেহেদী হাসান বলেন, নির্মাণাধীন ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রকল্প হলেও করোনাকালীন দীর্ঘ ছয় মাস কাজ বন্ধ থাকা, হঠাৎ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়াসহ নানা জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি। নানা জটিলতায় নির্মাণ কাজ ধীরে হলেও, আগামী জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক মো. মেহেদী হাসান।