ভেড়ামারায় চলছে অবৈধ ক্লিনিক ও ল্যাবের রমরমা ব্যবসা, নেই অভিযান

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা ব্যবসা চলছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-সেবিকা, প্যাথলজিস্ট ও উন্নত চিকিৎসাসেবা পরিবেশ নেই। একাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেজিস্ট্রেশন থাকলেও তারা নবায়ন করেনি। এ বছর নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও ভেড়ামারা উপজেলায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কোন অভিযান পরিচালনা হয়নি। প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন আফিস সূত্রে জানা গেছে, ১০ শয্যার প্রতিটি হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে রোগীপ্রতি ফ্লোর স্পেস থাকতে হবে নূ্যনতম ৮০ বর্গফুট। জরুরি বিভাগ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঝুঁকিমুক্ত অপারেশন থিয়েটার, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, ওষুধ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি থাকতে হবে। শর্তানুযায়ী তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ডিপেস্নামাধারী দুইজন সেবিকা, তিনজন সুইপার ও ৮০০ বর্গফুট জায়গা থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু উপজেলার ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে স্বাস্থ্য নীতিমালা উপেক্ষা করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের গুণমান নিশ্চিত করতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সেবিকা ও প্যাথলজিস্ট ছাড়াই রোগীর অস্ত্রোপচার, চিকিৎসাসেবা ও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম চলার অভিযোগ রয়েছে অনেক স্থানে। ত্রম্নটিপূর্ণ অস্ত্রোপচারে রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এমন অভিযোগে এর আগে ক্লিনিক বন্ধও ঘোষণা করা হয়েছে। অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারপরও থেমে নেই স্বাস্থ্যসেবার নামে প্রতারণার ব্যবসা। ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমিন বলেন, উপজেলায় ১৪টি ক্লিনিক ও ২৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। তাদের মধ্যে একাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রেজিস্ট্রেশন থাকলেও নবায়ন করেনি। ভেড়ামারায় প্রায় ৫০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেজিস্ট্রেশন নেই তাদের তালিকা কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে অভিযান চালানো হবে।