রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ ক্রীড়া পাগল অনেক আগ থেকেই। সে কারণেই নির্মিত হয় উপজেলা পর্যায়ে স্টেডিয়াম। কিন্তু স্টেডিয়াম পরিত্যক্ত থাকায় খেলাধুলা বা খেলা উপভোগ করার পরিবেশ ছিল না। বর্তমান সরকার উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে চলছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ। দ্রম্নততম সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা পর্যায়ে স্টেডিয়াম তৈরি হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। গ্রাম পর্যায়ে খেলাধুলার মান উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে প্রতি উপজেলায় একটি করে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। তারই অংশ হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প (২য় পর্যায়ে) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, পাবনা জেলার আটঘরিয়া এবং নাটোর জেলার সদর ও গুরুদাসপুর উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ চলছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ কাজ শেষে চলছে গ্যালারির কাজ। এই ৪টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে ২০ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার ৬১৭ টাকায় টেন্ডার প্রাপ্ত হয়ে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লি.। কাজটি ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। আর কাজটি বাস্তবায়ন করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এই স্টেডিয়ামগুলো নির্মাণকাজ শেষ হলে খেলোয়াড়রা খেলাধুলার সুযোগ পাবে। দর্শকরাও গ্যালারিতে বসে খেলাধুলা উপভোগ করার সুযোগ পাবে।
স্টেডিয়াম নির্মাণ হওয়ায় খুশি হয়ে স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা বলেন, পুঠিয়া স্টেডিয়াম দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত ছিল। কোনো সংস্কার কাজ ছিল না। নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আমরা আশাবাদী খুব দ্রম্নত কার্যক্রম শেষ হবে। স্টেডিয়ামটি নতুন করে প্রাণ ফিরে পেলে এই এলাকার অনেক ছেলে খেলাধুলার সুযোগ পাবে এবং এখান থেকে জাতীয় পর্যায়ে অনেক খেলোয়াড় তৈরি হতে পারে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মারুফ হোসেন জানান, যুব ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলছে। আমরা ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লি. চারটা কাজ পেয়েছি, পুঠিয়া, পাবনা জেলার আটঘরিয়া এবং নাটোর জেলার সদর ও গুরুদাসপুর। পুঠিয়ায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশাবাদী জুনের মধ্যে আমাদের এই চারটা কাজ সম্পন্ন হবে। এই চারটা প্রজেক্টের বাজেট হচ্ছে ২০ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার ৬১৭ টাকা।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম নূর হোসেন নির্ঝর জানান, বর্তমান সরকার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের সার্বিক ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে আমাদের রাজশাহী অঞ্চলে চারটি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। এর একটি হচ্ছে আমাদের পুঠিয়ায়। এর আগে মানসম্মত কোনো স্টেডিয়াম না থাকায় ক্রীড়ার যে উন্নয়ন সেটা ব্যাহত হচ্ছিল। এই উপজেলা পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছিল না। কিন্তু বর্তমানে স্টেডিয়ামটা হওয়ার কারণে সুন্দর একটি পস্নাটফর্ম পাব।