কিশোরগঞ্জের নিকলী, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, অষ্টগ্রামসহ বিভিন্ন হাওড়ে শীতের প্রভাবে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই শীতের প্রভাব দীর্ঘদিন থাকলে জমিগুলো ফলনে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে হাওড়ের কৃষকরা দুশ্চিন্তায় আছেন।
তবে কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি তাপমাত্রা বাড়লে এই সমস্যা তেমন প্রভাব ফেলবে না। তাপমাত্রার উন্নতি হলেই চারা গাছের দ্রম্নত সতেজ হয়ে উঠবে। প্রাকৃতিক সারসহ অন্যান্য কিটনাশকও দ্রম্নত কাজ করবে। কৃষকের হাসি অমলিন থাকবে।
বুধবার কিশোরগঞ্জের নিকলী, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, অষ্টগ্রামসহ বিভিন্ন উপজেলা হাওড়গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে বোরো ধানের চারা সতেজতা অনেকটা কম। কৃষকরা জানান, সার ও কিটনাশক দিয়েও কোনো কাজে আসছে না এই ঠান্ডায়। চারার বর্ণগুলো হলুদ হয়ে যাচ্ছে। তেমনিভাবে চারার উপরি অংশ জীর্ণ জার হয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
অনেক কৃষক বলেন, গরম হাওয়া আসলে চারাগুলো সতেজতা ফিরে পাবে। কৃষি বিভাগ মনে করছেন, এই ঠান্ডায় কিছুটা ক্ষতি হলেও, ঠান্ডা চলে গেলে বোরো জমির সতেজতা আবার ফিরে আসবে।