মানবসেবার পরিধি বাড়াতে জনপ্রতিনিধি হতে চান সাদি
প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
সাদাত আনোয়ার সাদি ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে বিভিন্ন জরিফে তিনি এগিয়ে থাকলেও নৌকা প্রতীক পাননি। তাই বলে থেমে যাননি। বিগত এক দশক ধরে প্রকাশ্যে সরকারের নানামুখী উন্নয়নের পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সমাজসেবা এবং মানবসেবায় কাজ করছেন। তার দেওয়া তথ্যমতে উলেস্নখযোগ্য কয়েকটি কাজ হলো করোনাকালে ফটিকছড়ি উপজেলায় গঠিত কোভিট হাসপাতালে ১৬ লাখ টাকা অনুদান, ফটিকছড়ির ২টি থানায় ৩টি হাই পাওয়ার পিকআপ প্রদান, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ও ফটিকছড়ি স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান, ফটিকছড়িতে ১২টি সড়কের উন্নয়ন কাজে অবদান, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ নিজ অর্থায়নে মেরামত করা, ফটিকছড়ির প্রতিটি ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের মাঝে প্রতিবছর শীতবস্ত্র বিতরণ, রমজানে হতদরিদ্রদের ইফতার সামগ্রী বিতরণ, যেকোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসকে সুসজ্জিত করা, এবাদতখানা নির্মাণ, উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী পালনসহ দলীয় কর্মসূচি পালনে একক আর্থিক সহযোগিতা, অসচ্ছল দলীয় নেতাকর্মীদের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সমস্যায় আর্থিক সহায়তা ইত্যাদি।
সাদাত আনোয়ার সাদি একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, 'জনপ্রতিনিধি একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর সার্বিক কর্মকান্ডের দায়িত্ব বহন করেন। জনপ্রতিনিধির যোগ্যতা, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার ওপর নির্ভর করে কোনো সমাজ ও জাতির ভবিষ্যৎ। জনপ্রতিনিধির বৈশিষ্ট্যগুণে একটি সমাজ ইতিহাসের স্বর্ণচূড়ায় আরোহণ করতে পারে। সে জন্যই আমি এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সরকারের উন্নয়ন কাজের সঙ্গে নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন মানবিক এবং সামাজিক কাজ করে যাচ্ছি। আমি চাই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমার ফটিকছড়িকে সাজাতে। আর তাই নিঃস্বার্থভাবে সামাজিক, মানবিক এবং উন্নয়নমূলক কাজ করে যেতে চাই।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি যদি জনপ্রতিনিধি হতে পারি তাহলে আদর্শের মধ্যে অনেক কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসব। তা হলো- তরুণ প্রজন্মের সামনে নেতৃত্বের রোল মডেল তৈরি, তরুণরা আদর্শিক অনুপ্রেরণায় এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া, স্থানীয়ভাবে এবং পুরো ফটিকছড়ির উন্নয়ন, দুর্নীতি কমবে; রাস্তাঘাট, বাস-ট্রেন ও হাসপাতালের সেবাগুলো মানুষ যথাযথভাবে পাবে, জনগণ ন্যায্য বিচার পাবে, অনিয়ম, ঘুষ, নিয়োগ-বাণিজ্য, দলবাজি কমবে প্রমুখ।'